বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হোন মুখ্যমন্ত্রী: শহরজুড়ে পড়ল পোস্টার

“মুখ্যমন্ত্রীই আচার্য হবেন”। এমনটাই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। তাঁর সেই বক্তব্যের পর এবার ময়দানে নেমে পড়ল তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’ (WBCUPA)। “রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী”, এই মর্মে পোস্টার পড়ল শহরজুড়ে। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন আচার্য বিল পাশ হয় বিধানসভায়। কিন্তু, সেই বিলে সই করেননি রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস(CV Anand Bose) রাজ্যপাল হওয়ার পরও সেই আচার্য বিলে সই হয়নি। আচার্য বিলের ক্ষেত্রে অর্ডিন্যান্স আনার কথা বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এই প্রেক্ষিতে এবার অর্ডিন্যান্স আনতে চাইছে তৃণমূল(TMC)।

শিক্ষামন্ত্রী আগেই বলেছেন, ‘আচার্য বিল অনন্তকাল ধরে আটকে রাখা যায় না।’ মুখ্যমন্ত্রীও বুধবার এই বিল সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘জরুরি বিষয়ে অর্ডিন্যান্স আনাই যায়। পরের অধিবেশনে সেটা পাশ করিয়ে নেওয়া হয়।’ এই মর্মেই এবার পোস্টার পড়ল উত্তর ও দক্ষিন কলকাতার একাধিক জায়গায়। পোস্টারে লেখা, “এবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাক। হোক জনরব। রাজ্যসরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য হন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।” ওয়েবকুপার তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার দাবিতে গণস্বাক্ষরও সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এপ্রসঙ্গে ওয়েবকুপা-র তরফে কৃষ্ণকলি বসু বলেন, “ব্রিটিশ আমলের আইন পরিবর্তন করার সময় এসেছে। উপাচার্যের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন হয়েছে, এখন শিক্ষাবিদরা সেই পদে যেতে পারেন। বিশ্বভারতীর আচার্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৩ সালে গুজরাটেও আচার্য পদে রাজ্যপালের সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাহলে বাংলায় কেন হবে না? স্বাধীন ভারতে পরাধীন ভারতের নিয়ম চলতে পারে না।”

Previous articleবাপ-বেটা ঠিক করুক কে সত্যি বলছে! মুকুল-শুভ্রাংশুকে তীব্র খোঁচা দিলীপের
Next articleহারের হ্যাটট্রিক আটকাতে লক্ষ্মীবারে কী স্ট্রাটেজি কলকাতার!