“আদালত নয়, সংসদই আদর্শ জায়গা”! সমলি.ঙ্গ বিবাহ ইস্যুতে ফের বি.স্ফোরক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  

কোনও আদালত (Court) নয়, সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) ইস্যুতে বিতর্কের জন্য একমাত্র আদর্শ জায়গা সংসদ। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব (Central Minister Bhupendra Yadav)। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিবাহ একটি ‘সংঘবদ্ধতা’। এটি কোনও বিচার্য বিষয় হতে পারে না। তিনি আরও জানান, শীর্ষ আদালত এই ইস্যুতে দেশের কিছু পরিচিত ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন মন্তব্য  ঘিরে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একজন মন্ত্রী হয়েও কীভাবে এমন একটি জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে এমন মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার বেফাঁস মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন এই বিজেপি (BJP) নেতা।

তবে প্রথম থেকেই সমলিঙ্গের বিবাহে আপত্তি জানিয়ে আসছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার (Narendta Modi)। ইতিমধ্যে দেশের সমস্ত রাজ্যের কাছে এই বিষয়ে মতামত জানানোর জন্য রিপোর্ট তলব করেছে তারা। খুব শীঘ্রই সেগুলি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) এই শুনানি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে সাংবিধানিক বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, আদালত এই শুনানিতে কোনও ধর্মের বিবাহ সংক্রান্ত ব্যক্তিগত আইন নিয়ে আলোচনায় যাবে না। শুধুমাত্র বিশেষ বিবাহ আইনের প্রেক্ষাপটে এই আবেদনের বিচার করবে। তবে সমকামিতার বিরোধিতা এই প্রথম নয়, বিভিন্ন সময়ে এই পথে হেঁটেছেন বিজেপি নেতারা। অতীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমকামিতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে বা আলোচনা হয়েছে। তখন এ বিষয়ের বিরোধিতা করেছে বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। এমনকি দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে সৌরভ কিরপালের (Saurabh Kirpal) মনোনয়নও দেয়নি কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) এর বিরোধিতা করে সুর চড়িয়েছেন। সৌরভ কিরপাল হলেন দেশের প্রথম ঘোষিত সমকামী বিচারপতি। সমকামিতাকে অপরাধের তালিকা থেকে সরানো যে দাবি উঠেছিল, তখনও তার বিরোধিতা করেছিল বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথ, রাজনাথ সিংয়ের মতো নেতারা সমকামিতার বিরোধিতায় সরব হন।

তবে সমলিঙ্গ বিবাহ গোটা বিশ্বেই সাম্প্রতিক অতীতে এক বহু চর্চিত বিষয়। গত ২ দশকে একাধিক উন্নত দেশ সমলিঙ্গ বিবাহকে পুরোপুরি বা আংশিক ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতেও সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠছে। স্বীকৃতি না থাকলেও, সাম্প্রতিক অতীতে দেশের বিভিন্ন শহরে সমলিঙ্গ দম্পতি বিয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দায়ের হয়েছিল। এদিকে সমলিঙ্গ বিবাহের বিষয়টির ‘মৌলিক গুরুত্ব’ রয়েছে বলে মত দেশের শীর্ষ আদালতের। এর আগেও সমকামী সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন রায় দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সমকামিতা অপরাধের তালিকা থেকে ২০১৮ সালে মুক্ত করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সেই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। কিন্তু সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি অধরা রয়ে গিয়েছে ‘এলজিবিটিকিউ’ অংশের মানুষের কাছে। আর দীর্ঘ সময় পেরলেও এখনও বিষয়টির আইনি স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

 

 

 

Previous articleসৌরভ-বিরাটের বিতর্ক নিয়ে কী বললেন শাস্ত্রী?
Next articleসুখবর দিল্লি শিবিরে, উদ্ধার চুরি যাওয়া সরঞ্জাম, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ওয়ার্নারের