Thursday, November 13, 2025

দেশের প্রথম জলাভূমির গণনা, তালিকার শীর্ষে বাংলা

Date:

Share post:

ফের শীর্ষে বাংলা। এবার দেশের জলাশয়ের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষস্থান দখল করল বাংলা। শহরাঞ্চল, গ্রামাঞ্চল, ব্যক্তিগত অধিকারে থাকা জলাশয় ও মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে প্রথম সারির পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান প্রথম। কেন্দ্রের সমীক্ষা রিপোর্টে পাওয়া গেছে এই তথ্য।

সেচ-এর ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের স্থান চতুর্থ। অন্য চারটি রাজ্য হল ঝাড়খন্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও গুজরাট।দেশের জলাশয় গণনায় আরও প্রকাশ, শহরাঞ্চলের জলাশয়গুলির ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা পঞ্চম স্থান অধিকার করে রয়েছে। দেশে সর্বমোট ২৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৪০টি জলাশয় রয়েছে। এর মধ্যে ৯৭.১ শতাংশ অর্থাৎ, ২৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৫টি জলাশয় রয়েছে গ্রামীণ এলাকায় এবং কেবলমাত্র ২.৯ শতাংশ অর্থাৎ, ৬৯ হাজার ৪৮৫টি জলাশয় রয়েছে শহরাঞ্চলে। জলাশয়ের নিরিখে প্রথম পাঁচটি রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও আসাম। জলাশয়গুলির মধ্যে ৫৯.৫ শতাংশ পুকুর, ১৫.৭ শতাংশ ডোবা, ১২.১ শতাংশ জলাধার, জল সংরক্ষণ প্রকল্প ও বাঁধ রয়েছে ৯.৩ শতাংশ, সরোবর ০.৯ শতাংশ এবং বাকি ২.৫ শতাংশ অন্য ধরনের জলাশয় রয়েছে।

দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার জলশক্তি মন্ত্রক দেশজুড়ে জলাভূমির গণনা করা হল। প্রাকৃতিক জলাশয় সহ মানবসৃষ্ট জলাশয় যেমন পুকুর, দীঘি, সরোবর প্রভৃতি সহ দেশের জলসম্পদের এক সর্বাত্মক চিত্র এই গণনায় ধরা পড়েছে। এর পাশাপাশি, জলাশয় অধিগ্রহণের সমষ্টিগত পরিসংখ্যানও এতে পাওয়া যায়। এই গণনা শহর এবং গ্রামাঞ্চলের বৈষম্যকে একদিকে যেমন তুলে ধরেছে, অন্যদিকে তেমনই জলাশয় অধিগ্রহণের বিভিন্ন প্রকার চিত্রও এর মাধ্যমে ফুটে উঠেছে যাতে করে দেশের জলসম্পদের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক প্রকাশিত হয়েছে।

ষষ্ঠ ক্ষুদ্র সেচ গণনার সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কেন্দ্র-পোষিত ‘সেচ গণনা’ চালু করা হয় যাতে করে দেশের সমস্ত জলাশয়ের জাতীয় সর্বাত্মক তথ্যভাণ্ডার পাওয়া যায়। জলাশয়গুলির অবস্থা, কি জাতীয় অধিগ্রহণ হয়েছে, তার ব্যবহার, কতটা জল সঞ্চয় করছে, জল সঞ্চয় ক্ষমতাই বা কি – এই যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি তথ্যের মধ্যে ধরা পড়েছে। গ্রামাঞ্চল এবং শহরের সমস্ত এলাকার ব্যবহৃত এবং অব্যবহৃত যাবতীয় জলাশয়কে এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। জলাশয়গুলির ব্যবহারগত প্রকৃতি কি, যেমন সেচ, শিল্প, মৎস্যচাষ, গৃহস্থালী অথবা পানীয় জল হিসেবে ব্যবহৃত, আনন্দ-বিনোদনের স্বার্থে, ধর্মীয় কাজে, ভূগর্ভস্থ জল কতখানি পূর্ণ করা যাচ্ছে – এই সমস্ত নিয়ে সামগ্রিক দিক এই গণনায় তুলে ধরাই ছিল লক্ষ্য। সাফল্যের সঙ্গে এই গণনা সম্পন্ন হয়েছে এবং সর্বভারতীয় ও রাজ্যভিত্তিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন- ফের যোগীরাজ্যে কু.পিয়ে খু.নের অভিযোগ! চরম নৃ.শংসতার সাক্ষী রাজধানী শহরও

 

spot_img

Related articles

জিতলেও বিজয় মিছিল নয়! বিহার নির্বাচনের ফলাফলের আগে কমিশনকে টানতে হল লাগাম

নির্বাচন প্রক্রিয়া জুড়ে অশান্তি বারবার মাথাচাড়া দিয়েছে নীতীশ কুমারের বিহারে। বারবার আক্রান্ত হয়েছে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এমনকি প্রার্থীরাও।...

KIFF: এক সপ্তাহের ফিল্মোৎসবের আজ সমাপ্তি, সিনে দশমীতে চলচ্চিত্র প্রাঙ্গণে শিল্পী সম্বর্ধনা

সংস্কৃতির শহর কলকাতার আনাচে-কানাচে সিনেপ্রেমী উৎসাহীদের আজ মন খারাপ। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহব্যাপী ৩১-তম...

হাসিনার শাস্তির তারিখ ঘোষণার আগেই ‘উত্তপ্ত’ ঢাকা! লকডাউন ঘোষণা আওয়ামী লিগের

দোষী ধরে নিয়েই মামলা। সেই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি যেন অবধারিত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাজা ঘোষণা করা হবে...

নভেম্বরের মাঝেই চাদর-মোড়া ঠাণ্ডা! পারদ আরও নামার ইঙ্গিত

নভেম্বরের শুরুতেই সোয়েটার চাদর বের করতে হচ্ছে আলমারি-ট্রাঙ্ক থেকে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে সকালের তাপমাত্রা (temperature) ১৭তে নামছে যেমন, তেমন...