প্রয়াত বর্ষীয়ান CPIM নেতা মৃদুল দে, শোকের ছায়া আলিমুদ্দিন থেকে নিজের পাড়াতেও

আলিমুদ্দিনে ফের শোকের ছায়া। লড়াই থামল বর্ষীয়ান CPIM নেতা মৃদুল দে-র (Mridul Dey)। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। গত কয়েকমাস ধরে পরিস্থিতির অবনতি হয়। চিকিৎসা চলছিল ৭৫ বছর বয়সী বাম নেতার। মৃদুল দে-র মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি-সহ বাম নেতৃত্ব। টুইটে শোকজ্ঞাপন করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। মৃদুল দে-র দেহ নিয়ে যাওয়া হয় মুজফ্ফর আহমেদ ভবনে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu), সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহ সেলিম (Md Selim), সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব,সুদীপ সেনগুপ্ত, ছাত্র নেতা সৃজন ভট্টাচার্য-সহ বর্ষীয়ান এবং যুব নেতৃত্ব।

মৃদুল দে-র রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় নদিয়া থেকে। DYFI দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলিতে জায়গা পান মৃদুল। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও হয়েছিলেন তিনি। তবে, কোনও দিন নির্বাচনে লড়েননি তিনি। মৃদুল দে ছিলেন সিপিএমের তাত্ত্বিক নেতা। সংগঠন মজবুত করার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তবে, অসুস্থতা ও বয়সের কারণে গত বছর রাজ্য কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যহতি নিয়েছিলেন মৃদুল দে।

সোমবার রাতে রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটে (CNCI) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার, সকালে সেখান থেকে তাঁর দেহ প্রথমে উল্টোডাঙায় মানিকতলা হাউজিং এস্টেটের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান আবাসিক সমিতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বজন, প্রতিবেশীরা। পাড়ায় সবার সঙ্গেই আন্তরিক সম্পর্ক ছিল মৃদুল দে-র। স্বল্পভাষী বামনেতার প্রয়াণে শোকের ছায়া আবাসনে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআইএমের রাজ্য দফতরে মুজাফফর আহমেদ্ ভবনে। সেখান থেকে গণশক্তি-র দফতরেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

মৃদুল দের-র মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন সীতারাম ইয়েচুরি। লেখেন,
“কমঃ মৃদুল দে-র মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। মৃদুল কয়েক দশক ধরে সংগ্রামী একজন কমরেড। আমরা একসঙ্গে দ্রুত বদলে যাওয়া ইউএসএসআর ও ভারতের জনগণের সংগ্রামকে চালনা করেছি।
স্বপ্না, পরিবার ও কমরেডদের প্রতি গভীর সমবেদনা।
লাল সালাম কমঃ মৃদুল“

টুইট করেন কুণাল ঘোষ। লেখেন,
“প্রবীণ সিপিএম নেতা, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, গণশক্তির অন্যতম স্তম্ভ মৃদুল দের প্রয়াণে আন্তরিক শোক ও শ্রদ্ধা জানাই। বহু বছর আগে, সাংবাদিকতায় বাম শিবিরের খবর করার সূত্রে পরিচয়। অনিল বিশ্বাসের আস্থাভাজন ছিলেন। দীর্ঘকাল ধারাবাহিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠদের জানাই সমবেদনা।“

 

 

Previous articleরাজ্যের অনুমতির অপেক্ষা নয়, CBI-কে ক্ষমতা দিতে নয়া আইনের প্রস্তাব কেন্দ্রের
Next articleমঙ্গলেও মহানগরীতে মেঘলা আকাশ! আজও কী বৃষ্টিতে ভিজবে রাজপথ?