গ্রেফতার না করেও তদন্ত চালানো যেত, অনুব্রত-কন্যার প্রতি সহানুভূতিশীল তৃণমূল

মানবিকতার দিকটি বিবেচনা করা ইডি গ্রেফতার না করেও এই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তারা সেটা করেনি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি মারা যান অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডল

গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন প্রায় ৮ মাস। এই সময়কালের মধ্যে তাঁর মেয়ে সুকন্যার দিকেও কড়া নজর ছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির। অবশেষে সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে ইডি। সুকন্যার গ্রেফতারিতে তৃণমূলের অবস্থান।কী? বিষয়টি নিয়ে বিশদে কিছু না বললেও তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষই কেষ্ট কন্যা গ্রেফতার ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট পরোক্ষে বুঝিয়ে দিলেন।

সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। কেউ বা কারা, কোনও দোষ করে থাকলে, অবশ্যই শাস্তি পাবে। এ নিয়ে তৃণমূল কাউকে ডিফেন্ড করতে যায়নি, আর যাবেও না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে একটি বিষয় বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। যে মেয়েটিকে গ্রেফতার করা হল, কিছু দিন আগে, দীর্ঘ অসুস্থতার পর তার মা মারা গিয়েছেন। বাবা বিতর্কিত কারণে বর্তমানে কারাগারে। সেখানে তদন্তের প্রয়োজনে সুকন্যাকে গ্রেফতার করা হল, কিন্তু তাকে বাইরে রেখেও তো তদন্ত করা যেত। সে তো পালিয়ে যাবে না। ফলে এই গ্রেফতার কোনও ভয়ঙ্কর, প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ মহলের চাপ নয়ত? যে মেয়েটিকেও ছাড়া যাবে না, কারণ তিনি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে!”

ইডির দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শুধু অনুব্রত নন, সুকন্যাও নাকি নির্দেশ দিতেন। রাইস মিল ও অন্যান্য ক্ষেত্রে টাকা লেনদেনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন সুকন্যা। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, জায়গা-জমি ছাড়াও ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের কোনও সদুত্তর সুকন্যা দেননি বলে ইডির দাবি। আজ রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অনুব্রত-কন্যাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় ইডি। সুকন্যাকে তিনদিনের ইডি হেফাজত দেয় আদালত।

তবে কুণাল ঘোষ মনে করেন, মানবিকতার দিকটি বিবেচনা করা ইডি গ্রেফতার না করেও এই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তারা সেটা করেনি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি মারা যান অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডল। দীর্ঘ দিন ধরেই মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। কলকাতার টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। সেই সময় স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য নিত্যদিন ছুটে বেড়াতে হতো অনুব্রতকে। স্ত্রীকে নিয়ে অনুব্রত মানসিক চাপেও ছিলেন বলে শোনা যায়। সুকন্যার গ্রেফতারিতে তাঁর মাতৃবিয়োগের কথা তুলে ধরে তৃণমূল আসলে অনুব্রত-কন্যার প্রতি সহানুভূতিই ব্যক্ত করছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

 

 

Previous articleআগামী মাসেই চালু হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! শুক্রেই ট্রায়াল
Next articleস্বস্তির বৃষ্টিতেও বিষাদ! বজ্রপাতের জেরে ম.র্মান্তিক পরিণতি ৪ যুবকের, গুরুতর জ.খম আরও ৬