কালিয়াগঞ্জ-কাণ্ড নিয়ে পুলিশি রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের, বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে লা.শ-রাজনীতির অভিযোগ কুণালের

কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা অস্বাভাবিক মৃত্যু ও তার প্রেক্ষিতে দফায় দফায় উত্তেজনা সৃষ্টির ঘটনায় এবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। পুলিশের রিপোর্ট (Police Report) পেয়ে তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সূত্রের খবর। তবে, এই বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজ্যপাল রাজি হননি বলেই সূত্রের খবর।

বুধবার, মধ্যরাতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কালিয়াগঞ্জ। নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ও সেই ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশের উপর হামলা চলে। নির্মমভাবে মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদের। কালিয়াগঞ্জের বিক্ষোভে অভিযুক্ত বিজেপি-র গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু বর্মণকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ (Police)। অভিযোগ, তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবা ও থানায় যেতে চায় পুলিশ। বাধা দেন বিষ্ণবর্মণের খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ। স্থানীয়রা জড়ো হয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন। গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে বচসা বাধে। রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। সেই সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ রায়গঞ্জ মেডিক্যালে কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ে বিজেপি। মৃতকে নিজেদের দলের কর্মী বলে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে।

এর জবাবে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে ধুয়ে দেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটে তিনি লেখেন, “প্রসঙ্গ কালিয়াগঞ্জ। ঘটনাচক্রে গতকালই আমি এই বক্তব্য রেখেছিলাম। কিছু বিরোধী নেতা লাশ চাইছেন রাজনীতির জন্য। উত্তেজনা ছড়িয়ে পুলিশের উপর হামলা করাচ্ছেন। পুলিশ সেদিন গুলি না চালানোয় হতাশ হয়ে বলছিলেন পুলিশ মার খাবে কেন? তারপরেই মৃত্যু। যথাযথ তদন্ত দরকার।“ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ পরিবার ও গ্রামবাসীরা। এই পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।

 

 

Previous articleGold Silver Rate: সস্তা হল সোনা, স্বস্তিতে ক্রেতারা!
Next articleসংসদে কী হচ্ছে? সাংসদরা কী করলেন? ২২টি আঞ্চলিক ভাষায় জানাবে ডিজিটাল সংসদ