পুলিশি ঘেরাটোপে থাকার পরও কীভাবে খু.ন আতিক-আশরাফ? সুপ্রিম প্রশ্নের মুখে যোগী সরকারের ভূমিকা

শুক্রবার শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলে, আতিক ও আশরাফকে ঘটনার দিন কেন হাঁটিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল? কেন কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়নি সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলে দেশের শীর্ষ আদালত।

পুলিশি হেফাজতে (Police Custody) থাকাকালীন কীভাবে আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) ও তার ভাই আশরাফকে(Ashraf) খুন করা সম্ভব হল, সেই বিষয়ে এবার উত্তরপ্রদেশ সরকারকে (Uttar Pradesh Government) রিপোর্ট (Report) জমা দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court if India)। পাশাপাশি গত ১৩ এপ্রিল ঝাঁসিতে আতিক আহমেদের ছেলে আসাদকে খুনের ঘটনারও একটি রিপোর্ট যোগী সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছে। শুক্রবার শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলে, আতিক ও আশরাফকে ঘটনার দিন কেন হাঁটিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল? কেন কোনও অ্যাম্বুলেন্সের (Ambulance) ব্যবস্থা করা হয়নি সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলে দেশের শীর্ষ আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (Prayagraj) সরকারি হাসপাতাল চত্বরে আতিক এবং তার ভাই আশরাফকে লাগাতার গুলি করে খুন করে সাংবাদিকের সেজে আসা তিন আততায়ী। আর তা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার শীর্ষ আদালত সরাসরি উত্তর প্রদেশ সরকার পক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন তুলে বলে, ওরা জানল কী করে? আমরা টিভিতে সবটুকুই দেখেছি। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে, আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাইকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে কেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি? কেন তাদের হাঁটিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? আর এদিন বিচারপতির এমন প্রশ্নের জবাবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে আদালতে বক্তব্য রাখেন মুকুল রোহতগি (Mukul Rohtagi)। রোহতগি বলেন, আমরা তদন্তের জন্য দুই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির একটি কমিশন গঠন করেছি। উত্তরপ্রদেশ সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত কাজ করেছে। পুলিশ হেফাজতে আতিক ও আশরাফ হত্যার তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তবে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও কীভাবে আতিক ও আশরফকে হত্যা করা হল তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, যত সময় যাচ্ছে ততই ‘গুন্ডারাজ’ বাড়ছে যোগী রাজ্যে। অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে বিচারব্যবস্থা। তবে বিষয়টিকে কিছুতেই সহজে মেনে নিতে নারাজ বিরোধীরা। পুলিশি ঘেরাটোপে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে দুজন খুন হল তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।

 

 

Previous articleএক সপ্তাহের মধ্যে অভি.যোগের নিষ্পত্তি চাই, ক.ড়া চিঠি মুখ্য সচিবের!
Next articleযেদিন ডাকবে সেদিন যাব: তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতার বার্তা অভিষেকের