একশো দিনের কাজ (100 Days Work) নিয়ে ওঠা বিস্তর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আগেই ন্যায়পালদের (Ombudsman) দ্রুত সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র (Central Government)। তবে রাজ্য সরকার মনে করে এই নির্দেশ কার্যত অর্থহীন। রাজ্যের পাল্টা প্রশ্ন যেখানে কেন্দ্রীয় বরাদ্দই মেলেনি সেখানে টাকা খরচে গরমিলের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে। দীর্ঘদিন ধরে একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) একাধিকবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেও বাংলার ভাগ্যে বকেয়া টাকার সিকিভাগও জোটেনি বলে অভিযোগ। তবে টাকা আটকে রাখলেও ক্ষান্ত হচ্ছে না কেন্দ্রের মোদি সরকার। রাজ্যের উপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টির চেষ্টায় ব্যস্ত তারা।

উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার। অথচ সেই প্রকল্পের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ন্যায়পালদের দ্রুত অতিসক্রিয় করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে ১০০ দিনের কাজে নজরদারি চালাতে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ১ জন করে ন্যায়পাল নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই নিয়োগ হয়েছে কেন্দ্র সরকারের নির্দেশেই। প্রকল্পের কাজে নজরদারি চালাতে তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করে চলেছে রাজ্য। ইতিমধ্যে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও (Whatsapp Group) তৈরি হয়েছে। সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং গত নির্বাচনে তাঁদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের রাখা হয়েছে সেই গ্রুপে।
তবে কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, এই গ্রুপে জবকার্ড হোল্ডারদের কোনও অভিযোগ জমা পড়লে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত করতে হবে ন্যায়পালদের। এই বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকদের দাবি, অন্যান্য শর্ত মানার পাশাপাশি কেন্দ্রের তৈরি করা নিয়ম মেনেই ন্যায়পাল নিয়োগ করা হয়েছে। তাও বাংলার প্রাপ্য টাকা দিতে বিস্তর ঢিলেমি করছে কেন্দ্র। বাংলাই একমাত্র রাজ্য, যাদের টাকা আটকে রাখা হয়েছে।
