Sunday, August 24, 2025

আত্মবিশ্বাসে ভর করে ‘ক্যাফে পজিটিভ’ এখন পাটুলিতে

Date:

Share post:

মারণ ভাইরাস জীবনে থাবা বসালেও, থাবা বসাতে পারেনি আত্মবিশ্বাসে। আর সেই আত্মবিশ্বাসের ভর করেই জীবন এগিয়ে চলেছে সদর্থক দিকে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে তাই ক্যাফে পজিটিভ এবার পাটুলিতে।এই ক্যাফেটেরিয়ার সব কর্মীই এইচআইভি পজিটিভ৷

রবিবার পাটুলিতে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ‘ক্যাফে পজিটিভ’-এর উদ্বোধন করলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ছিলেন কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী, বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘OFFER’-এর কর্ণধার কল্লোল ঘোষ প্রমুখ বিশিষ্টরা।

কুণাল ঘোষ বলেন, এইচআইভি পজিটিভ মানেই কিন্তু সমাজে অচ্ছুত নয়। ওরা সমাজে মূলস্রোতে থাকার মতো এবং সবদিক থেকে স্বাভাবিক। একটি হোম আছে। এইচআইভি আক্রান্ত শিশুরা থাকে। ১৮ বছরের পর তো আর হোমে রাখা যায় না। এই অবস্থায় এগিয়ে এসেছে ‘অফার’। এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে। ওদের নিয়েই দারুণভাবে চলছে ‘ক্যাফে পজিটিভ’।

কাউন্সিলর তথা আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন, থিঙ্ক পজিটিভ, ডু পজিটিভ। ‘ক্যাফে পজিটিভ’ পাটুলিতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এইচআইভি আক্রান্ত মানুষরা সুযোগ পেলে অনেকের থেকে ভালো কাজ করবে।
কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বলেন, ‘ক্যাফে পজিটিভ’ এর মত একটি ভালো উদ্যোগকে এখানে জায়গা দিতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।

সংস্থার কর্ণধার কল্লোল ঘোষ বলেন, ‘ক্যাফে পজিটিভ’ শুধুমাত্র রাজ্যে বা দেশে নয়, বিশ্বের মধ্যে আর দুটি নেই। কেন ক্যাফে পজিটিভ? কারণ, ক্যাফের কর্মীদের প্রত্যেকেই নিজের শরীরে এইচআইভি মারণ ভাইরাস বহন করছেন জন্মসূত্রে। এই ক্যাফে সামলাচ্ছেন শুধুমাত্র এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্তরা।
ক্যাফেতে যে চা, কফি, কেক, পেস্ট্রি তৈরি হয়।

সারা দেশে ৩০টা আউটলেট করতে চান তাঁরা। প্রতি দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা খোলা থাকছে এই ক্যাফে। আসলে এই মানুষগুলো সত্যি হারতে শেখেননি। তাঁরা চান, অধিকার আর সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে।

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...