Monday, August 25, 2025

টালমাটাল অর্থনীতি: নগদ অর্থ সঙ্কটে পড়তে চলেছে আমেরিকা

Date:

Share post:

অর্থনৈতিক সঙ্কট(Economic Crisis) চলছিলই। এরইমাঝে আগামী ১ জুন থেকে নগদ অর্থসঙ্কটে পড়তে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র(America)। সম্প্রতি এই বিষয়ে সতর্কবার্তা দিলেন আমেরিকার অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন(Janet iyenail)। টালমাটাল এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে মুক্তি দিতে ঋণসীমা বাড়ানো বা বাতিল করার আবেদন জানিয়েছেন ইয়েলেন। সোমবার গোটা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে মার্কিন পার্লামেন্টে চিঠি লিখেছেন অর্থমন্ত্রী(Finance Minister)।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির মতো আমেরিকাতেও ঋণ নেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা রয়েছে। সেই সীমার বাইরে সরকার ঋণ নিতে বা দিতে পারে না। এদিকে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের ঋণের পরিমাণ সর্বোচ সীমার কাছে চলে এসেছে। এবার সেই সীমা ছুঁয়ে ফেলার পর আর ঋণ নিতে পারবে না সরকার। যার জেরেই নগদ সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কিন আইনসভার নিম্নকক্ষের সদস্যদের উদ্দেশ্যে পাঠানো চিঠিতে অর্থমন্ত্রী এই সমস্যা সমাধানে ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি যত দ্রুত সম্ভব বর্তমান ঋণসীমা ৩১.৪ ট্রিলিয়ন থেকে বাড়ানো বা এ সীমা বাতিল করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

গুরুতর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৯ মে মার্কিন কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ১৯৬০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত আমেরিকার ঋণসীমা মোট ৭৮ বার বাড়ানো হয়েছে। আরও একবার তা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে পার্লামেন্টে রিপাবলিকানরা দাবি জানিয়েছে, ঋণসীমা বাড়াতে হলে বাইডেনের অর্থনৈতিক নীতিতে বেশ কিছু পরিবরতন আনতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত ঋণ বাতিল, পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত ঋণ বাতিল ও আর একাধিক বিষয়। সেই দাবি মেনে নিলে তারা ঋণ সীমা বৃদ্ধির অনুমোদন দেবে বলে জানিয়েছে। তবে বাইডেন স্পষ্ট জানিয়েছেন এ নিয়ে কোনো আলোচনা বা আপস করা হবে না।

তবে যদি মার্কিন সরকার সত্যি সত্যি নগদ অর্থের সংকটে পড়ে যায় তাহলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান এর প্রভাব অনেক বড় হবে। যদিও আমেরিকা কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। কিন্তু যদি এবার হয় তাহলে দেশটিতে অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। অনেক মানুষ চাকরি হারাবেন। যা দেশকে মন্দার দিকে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া যদি ঋণ সীমা বৃদ্ধি না করা হয়, তাহলে অর্থ নিতে না পারার কারণে সরকার সাধারণ সরকারি কর্মচারী, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বেতন দিতে পারবে না। সামাজিকখাতে নিয়োগকৃত কর্মচারী এবং সামরিক যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীদের পাওনা অর্থ দিতে পারবে না।

spot_img

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...