আদালত চত্বরে হুমকি-গালাগাল দেওয়ার অভিযোগ! রত্নার বিরুদ্ধে থানায় শোভন-বৈশাখী

শোভনের দাবি, আলিপুর আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলকালীন লোকজন নিয়ে এসে তাঁকে হুমকি দেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। অশালীন মন্তব্য করা হয় বৈশাখীর উদ্দেশে

বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। তার মাঝে ফের একবার রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন শোভন চট্টোপাধ্যয় এবং তাঁর বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আবারও রত্নার বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে লোকজন নিয়ে এসে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুললেন শোভন-বৈশাখী। এই ঘটনার পর আলিপুর থানায় রত্না তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন শোভন। অন্যদিকে, শোভন-বৈশাখীর তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রত্না।

এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে শোভনের দাবি, আলিপুর আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলকালীন লোকজন নিয়ে এসে তাঁকে হুমকি দেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। অশালীন মন্তব্য করা হয় বৈশাখীর উদ্দেশে। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। পুলিশে অভিযোগ করার পরও রত্নার লোকজনেরা দেয় বলেও দাবি শোভনের।

তাঁর কথায়, “আদালতর চত্বরেই ঠিক দরজার বাইরে
দোতলার করিডরে, অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। কটূক্তিও ছুটে আসছিল। সেই ভাষা আমি উচ্চারণ করতে পারব না। আমি লক্ষ্য করছি, গালাগালির সঙ্গে বিভিন্ন হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এটা কি ভদ্রতা, সভ্যতা? এটা কি আদালত?” শোভনের আরও সংযোজন, এর আগে, ২৭ এপ্রিল এবং তার আগেও বার বার এমন ঘটেছ। শোভনের দাবি, তিনি বিচ্ছেদ চেয়েছেন। উনি চাইছেন পুনর্মিলন। তার এই নমুনা হতে পারে কি, প্রশ্ন তুলেছেন শোভন।

শোভন বান্ধবী বৈশাখী বলেন, “শোভন এজলাসের মধ্যেই ছিলেন। রত্নার সঙ্গে কিছু লোকজন আসে। তারা যে ভাষায় কথা বলছিল, তা বুঝতে হলে অকথা-কুকথার অভিধান নিয়ে বসতে হবে। কোনও ভদ্র-সভ্য সমাজে এমন কথার ব্যবহার হয় বলে জানা নেই। বিধায়ক এলে তাঁর সঙ্গীসাথীরাও নাকি আসেন! বেশ আসেন। আমার সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর চেষ্টাও হল। কিন্তু আমাকে নীরব দেখে এগোননি। তার পর দেখলাম, শোভন এজলাস থেকে বেরিয়ে আসছেন, আর প্রচ্ড চিৎকার চলছে। চার-পাঁচ জন মিলে যে সমস্ত ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষের শুভ বুদ্ধি অস্তমিত হলে, তখন লাগাম পরানো যায় না। বেলাগাম মানসিকতা, যে সংযমহীন ভাষায় উনি কথা বলছিলেন, পুলিশের দ্বারাও এর চিকিৎসা সম্ভব বলে মনে হয় না। আমাকে নানা রকম কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয়।”

যদিও হুমকি, গালাগালির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রত্না। তিনি বলেন, “শোভনবাবু-বৈশাখীদেবীকে ভয় দেখাব আমি? আমার মতো এত ক্ষুদ্র মানুষ? শোভনবাবুরা অল্পেই ভয় পেয়ে যান। আজ কোর্টে এমন কিছু ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।” শোভনের দেহরক্ষীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু রত্নার দাবি, তিনি রাজ্যের বিধায়ক। সেই সরকার থেকেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। সেই নিরাপত্তারক্ষীকে তিনি হুমকি দিয়েছেন, এটা অবান্তর যুক্তি। একই সঙ্গে রত্না জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কোর্টে দু’-তিন জন যাওয়া যদি অপরাধ হয়, তাহলে শোভনের সঙ্গে বৈশাখীর কোর্টে যাওয়াও অপরাধ।

এদিকে রত্নার বিরুদ্ধে শোভন-বৈশাখীর অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কিছু ছবি এবং ভিডিও-ও সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল।

আরও পড়ুন- ডা.ইনি অপ.বাদে খু.ন: দো.ষীর ফাঁ.সির আদেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত

 

Previous articleডা.ইনি অপ.বাদে খু.ন: দো.ষীর ফাঁ.সির আদেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত
Next articleবেঁচে থাকো বাবা, ১২৭ বছরের বিমলার আশীর্বাদ অভিষেককে