বিএসএফের যোগসাজশেই গরুপাচার! চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির

এবার মমতা–অভিষেকের অভিযোগকেই সিলমোহর দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। কারণ ইডি চার্জশিটে দাবি করেছে, বিএসএফের যোগসাজশেই গরুপাচার করা হতো।

বিএসএফের যোগসাজশেই গরুপাচার করা হত! গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের  অধীনে থাকা বিএসএফের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ তুলেছেন গরু–কয়লা পাচারে জড়িত বিএসএফ। কারণ সীমান্তের সুরক্ষায় তাঁরাই আছেন। আর তাঁদের সাহায্য ছাড়া পাচারের কাজ অসম্ভব। এবার মমতা–অভিষেকের অভিযোগকেই সিলমোহর দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। কারণ ইডি চার্জশিটে দাবি করেছে, বিএসএফের যোগসাজশেই গরুপাচার করা হতো।

চার্জশিটে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে ইডি দাবি করেছে, গরুবোঝাই ট্রাকগুলিকে একটি টোকেন দেওয়া হত। একটি সিন্ডিকেট ছিল, যারা এই টোকেন দিত। কোথাও ট্রাক আটকালে, সেই টোকেন দেখালেই সীমান্তে যাওয়ার সবুজ সংকেত মিলত। চার্জশিটে ইডি আরও দাবি করেছে, রাত ১১টা থেকে ৩টে এই ৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশে গরুপাচার হত। আর এতে প্রত্যক্ষ মদত দিত বিএসএফের একাংশ।এরজন্য মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছত বিএসএফের একাংশের কাছে। মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বেশ কয়েকটি জায়গা ঠিক করা ছিল। যেখান দিয়ে নদীপথে বাংলাদেশে গরু পাচার হত। এই মর্মে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে আগে থেকেই কথা হয়ে থাকত এনামুল হকের।

অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে গরুপাচারকারীরা তাঁর ফোনের মাধ্যমেই কথা বলত। গরুপাচার মামলায় চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি উল্লেখ করেছে ইডি।জানা গিয়েছে, মোবাইলে আসা একাধিক ফোন কলের রেকর্ড নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সায়গল দাবি করে, একাধিক তৃণমূল বিধায়ক, নেতা, এমনকী পুলিশ অফিসাররাও অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকে ফোন করতেন।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চার্জশিটের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে সায়গল ও গরু পাচারকারীদের সঙ্গে কথোপকথনের কল রেকর্ড। চার্জশিটে সায়গল হোসেনের দুটি ফোন নম্বরের পাশপাশি গরুপাচারকারীদের দুটি ফোন নম্বরের উল্লেখ করে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ সীমান্তে কয়েকটি পয়েন্ট ঠিক করা হয়েছিল। যেখানে থাকত উপযুক্ত জওয়ান। আর সেখান দিয়েই নদীপথে বাংলাদেশে গরু পাচার করা হতো। এই নিয়ে বিএসএফ অফিসারদের সঙ্গে আগে থেকেই পরিকল্পনা করা থাকত।

বেশ কয়েক মাস আগে এক বিএসএফ কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই মামলা এখনও চলছে।ইডির দাবি, বিএসএফের সঙ্গে একটা গোপন আঁতাত থাকত বলেই এই পাচারের কাজ সহজে করা যেত।

 

 

Previous articleকনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যুতে গ্রেফতার গাড়ি চালক: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি
Next articleপাহাড়ে গিয়েই নতুন প্রেম? ইন্দ্রনীল-বরখা সম্পর্ক ভা*ঙনের নেপথ্যে কে!