বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত,’মোকা’-র প্রভাব কতটা পড়বে এ রাজ্যে?

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। যা পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে।  শেষমেশ, সেই গভীর নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা-য় ।  সেই ঝড়ের কি কোনও প্রভাব পড়বে এই রাজ্যে? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র।আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শনিবার ৬ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। রবিবার ৭ মে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হবে সোমবার ৮ মে। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে তা মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে।জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৯ মে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। এরপর এর গতিমুখ থাকবে উত্তর দিকে। ভারতের মৌসম ভবন এর উপর নজর রাখলেও এখনও তার গতিপথ এখনই বলতে নারাজ। নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপর । ঠিক সময়ে ঝড়ের গতিপথ জানানো হবে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে নাম হবে মোকা। আরব সাগরের দেশ ইয়েমেনের দেওয়া নাম মোকা।

মোকার প্রভাবে পর্যটকদের জন্য সতর্কতা জারি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমুদ্র ও তার তীরবর্তী সমস্ত বিনোদনমূলক কাজ বন্ধ রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা এবং পর্যটকদের ভেসেল না চালানোর পরামর্শ আবহাওয়া দফতরের। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে। রবিবার ও সোমবার তুমুল বৃষ্টি হতে পারে এই দুই দ্বীপপুঞ্জ এলাকায়।বৃষ্টির সঙ্গে তুমুল হাওয়া বইবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। দমকা ঝোড়ো হাওয়া ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকবে রবিবার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সোমবার সেই ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকা উত্তাল থাকবে। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সমুদ্র এলাকাতেও মৎস্যজীবীদের প্রবেশ নিষেধ বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ওই সময় সমুদ্রের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবে। যার ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে তাই মৎস্যজীবীদের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আবহাওয়া দফতর।

গত কয়েক বছরে মে মাসে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ২০২০ সালে ধেয়ে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। যার তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। লন্ডভন্ড হয়েছিল কলকাতাও। পরের বছর, ২০২১ সালে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ২০২২ সালের মে মাসে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। ওই বছরের অক্টোবর মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। আশঙ্কা সত্যি বলে, আবার মে মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে।

 

 

Previous articleইডিকে দেওয়া অনুব্রতর জবানবন্দিতে কী জানা গেল? জানুন
Next articleউপত্যকায় জ.ঙ্গিদমন অভিযানে নি*হত ২ সেনা জওয়ান,জ*খম ৪