হাত মেলানো দুরস্ত, পাক বিদেশমন্ত্রীকে দূরে দাঁড়িয়েই নমস্কার জানালেন জয়শঙ্কর

বৃহস্পতিবারই উচ্চপদস্থ পাক আধিকারিকদের নিয়ে ভারতে আসেন বিলাবল। পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত একটি ভিডিয়োয় বেনজির ভুট্টোর পুত্রকে বলতে শোনা যায়, “গোয়ায় এসসিও কাউন্সিলের বৈঠকে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আশা করছি এই সম্মেলন সফল হবে।”

বৃহস্পতিবারই তিনি বিদেশমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর প্রথমবারের জন্য ভারতে এসেছেন। আর ভারতে আসার আগেই এক ভিডিও বার্তায় ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন। আর শুক্রবার গোয়ায় (Goa) এসসিও কাউন্সিলের (SCO Council Meeting) বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত হওয়া পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারির (Bilawal Bhutto Zardari) সঙ্গে প্রথা মেনে করমর্দন করলেন না দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। উল্টে ভারতীয় প্রথা অনুসারে নমস্কার করেন জয়শঙ্কর। পাল্টা নমস্কার করেন বিলাবলও। উল্লেখ্য, গোয়ার রাজধানী পানাজিতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এসসিও কাউন্সিলের বৈঠক। দু’দিনের এই বৈঠক চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।

এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য আয়োজক দেশের কর্মকর্তা হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবলকেও তিনিই আমন্ত্রণ জানান। বৃহস্পতিবারই উচ্চপদস্থ পাক আধিকারিকদের নিয়ে ভারতে আসেন বিলাবল। পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত একটি ভিডিয়োয় বেনজির ভুট্টোর পুত্রকে বলতে শোনা যায়, “গোয়ায় এসসিও কাউন্সিলের বৈঠকে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আশা করছি এই সম্মেলন সফল হবে।” পাশাপাশি ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর গঠনমূলক আলোচনা হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছিলেন বিলাবল। কিন্তু সেই সম্ভাবনা খুব কম বলেই জানা যাচ্ছে।

তবে বিলাবলের মোদিকে নিয়ে কুমন্তব্যের পরই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরে। আর এদিনের অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করের আচরণই মনে করিয়ে দিল এত সহজে সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগবে না।

 

 

Previous articleপাহাড়ে গিয়েই নতুন প্রেম? ইন্দ্রনীল-বরখা সম্পর্ক ভা*ঙনের নেপথ্যে কে!
Next articleইডিকে দেওয়া অনুব্রতর জবানবন্দিতে কী জানা গেল? জানুন