নির্দ.য়-নি.র্মম-নি.ষ্ঠুর: গাড়িচা.পা-কাণ্ড নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে ধুয়ে দিলেন অভিষেক

শুভেন্দুকে “নির্লজ্জ-বিবেকহীন” বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক বলেন, গাড়ি দুর্ঘটনায় কারও ধাক্কা লাগলে, গাড়ি থামিয়ে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা কর হয়। সেখানে বিরোধীদল নেতা কোনও খোঁজ না নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে, চণ্ডীপুরে (Chandipur) বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন তরতাজা যুবক শেখ ইসরাফিল। জনসংযোগ যাত্রায় শনিবার, রানিনগরে জনসভা থেকে বিরোধী দলনেতাকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বলেন, বিরোধী দলনেতা “নির্দয়-নির্মম-নিষ্ঠুর”। তাঁর কনভয় একটি নিরীহ যুবককে ধাক্কা দিল। তারপর গাড়ি না থামিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি।

শুভেন্দুকে “নির্লজ্জ-বিবেকহীন” বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক বলেন, গাড়ি দুর্ঘটনায় কারও ধাক্কা লাগলে, গাড়ি থামিয়ে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা কর হয়। সেখানে বিরোধীদল নেতা কোনও খোঁজ না নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। আর সেই শোকগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। এই ঘটনা নিয়ে এক তিরে কংগ্রেস- সিপিআইএমকেও বিঁধেছেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাঁত করছে কংগ্রেস-CIPM। সেই কারণে এরকম একটি ঘৃণ্য ঘটনা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি তাঁরা।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) একসময় বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন, কিন্তু তিনি সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিজেপিকে প্রবল আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, বিরোধী দলে থাকা অবস্থাতেই মানুষকে পিষে মারছে। তাহলে এরা যদি কখনও ক্ষমতায় আসে, তাহলে বাংলার সাধারণ মানুষের অবস্থা কী হবে!

এরপরই বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, কখনও শোনা যায় না অমিত শাহ বা কেন্দ্রীয় নেতাদের বিজেপি নেতাদের নিশানা করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু অথবা সিপিএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কিছু বলছেন। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেন না। এঁরা কেউই বাংলার বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করেন না। বাংলার দাবি আদায়ে দিল্লিতে আওয়াজ তোলেন না। অথচ এদের সবার নিশানা তৃণমূল। এন থেকেই বোঝা যায়, বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাঁত করে তৃণমূলকে সরাতে চাইছে বাম-কংগ্রেস। অভিষেক বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করছে তৃণমূল।

মুর্শিদাবাদ একসময় কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল। এখন বহরমপুরের সাংসদ রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সম্প্রতি সাগরদিঘির উপনির্বাচনেও জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। সেই মুর্শিদাবাদের রানিনগরে দাঁড়িয়েই কংগ্রেস তথা অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেন অভিষেক। সরকারি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে অধীর চৌধুরীর বোঝাপড়ার অভিযোগ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

 

 

 

Previous articleজ্বলছে মণিপুর অথচ মোদি ব্যস্ত সিনেমার প্রচারে! তোপ ওয়েইসির
Next articleরায় বাড়িতে গানের আসর, নচিকেতার কন্ঠে ফেলুদার নস্টালজিয়া!