রাজা তৃতীয় চার্লসের (The King Charles lll) জন্য কসমিক বাটারফ্লাই ব্রোচ (Cosmic Butterfly Brooch) তৈরি করেছেন হুগলির প্রত্যন্ত গ্রামের প্রিয়াঙ্কা মল্লিক (Priyanka Mallick)। এবার সেই শিল্পসত্তাই পেল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। রাজার অভিষেকে বাকিংহাম প্যালেসে আমন্ত্রণ পেলেন প্রিয়াঙ্কা।শারীরিক ভাবে উপস্থিত থাকতে না পারলেও বাকিংহাম প্যালেসের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন তিনি।

হুগলির প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েটা স্বপ্ন দেখেছিল অনেক দূরে যাওয়ার। নিজের এলাকার মধ্যে স্বপ্নকে বেঁধে রাখতে চাইনি সে। বাবা সরকারি চাকরি করতেন। এখন অবসরপ্রাপ্ত, মা গৃহবধূ। ভাইকে নিয়ে চার জনের মধ্যবিত্ত সংসার। সেই বাড়ির মেয়ে ছোট থেকেই আঁকা শিখতেন, সঙ্গে লেখাপড়াও। বাবা-মা চেয়েছিলেন মেয়ে ডাক্তার হোক। বেশ কিছুটা পথ এগিয়েছিলেন। ভাগ্যে ছিল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। পাড়া থেকে জেলা স্তরের প্রতিযোগিতায় বহু পুরস্কার পেয়েছেন আঁকার জন্য। তাই একটু বড় হতেই ঠিক করে ফেলেন, ডিজ়াইনার হতে হবে। বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করার মতো আর্থিক অবস্থা ছিল না। তাই অনলাইনেই ইটালির মিলানের একটি সংস্থা থেকে ফ্যাশন ডিজ়াইনিংয়ের কোর্স করেন। এর পরে ঠিক করেন নিজেই ফ্যাশন সংক্রান্ত ব্যবসা করবেন। ভর্তি হয়ে যান আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাসে। পরিবেশবান্ধব অর্থাৎ, ‘সাসটেনেবল বিজ়নেস’ নিয়ে পড়াশোনা করেন। প্যারিসের অ্যাবাইড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ডিগ্রি অর্জন করেন। অন্য দিকে, ডিজ়াইনিংয়ের কাজ চলতে থাকে। নিজের ব্যবসাও শুরু করে দেন। প্রিয়াঙ্কা বলেন, “মেয়েদের ক্ষমতায়ন এবং ই-লার্নিং পদ্ধতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ্য। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজেও আমার মতামত সমান গুরুত্বপূর্ণ।” রাজার জন্য কসমিক বাটারফ্লাই ব্রোচ তৈরি করেছেন তিনি যাকে স্বীকৃতি জানিয়েছে রাজ পরিবার। কঠিন সময় পেরিয়ে পজেটিভিটির বার্তা নিয়ে আলোর উৎসের সন্ধান করেছে প্রিয়াঙ্কার এই সৃষ্টি। রাজ পরিবারে তরফে এই কাজের জন্য প্রিয়াঙ্কাকে অফিসিয়ালি মেইল করে কৃতজ্ঞতাও জানানো হয়েছে।
