ডিএ আন্দোলন মঞ্চে রামধনু জোট! কাজ বন্ধের ‘কু-পরামর্শ’ বিরোধী নেতৃত্বের

কুণাল ঘোষ বলেন, “আদালতে মামলার তারিখ কী হবে সে তো আদালত ঠিক করে। সুপ্রিম কোর্টের উচিত শুভেন্দুকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা পর্দার পিছনের খেলাটা কী!”

যতই অরাজনৈতিক মঞ্চ বলে দাবি করুন, ডিএ আন্দোলনকারীদের হাজরার মঞ্চে প্রকাশ্যের রামধনু জোট। একই সঙ্গে পাশাপাশি হাত-মিলিয়ে হাজির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান, কৌস্তভ বাগচী, সিপিআইএমের যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। আর এই মঞ্চ থেকে রাজ্যের উয়ন্নয়নের গতি স্তব্ধ করে দেওয়ার কু পরামর্শ দিলেন বিরোধী নেতৃত্ব। মিছিলকে ”অতৃপ্ত আত্মাদের রাজনৈতিক সমাবেশ।” বলে তীব্র কটাক্ষ করেন, তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আনুযায়ী, শনিবার আন্দোলনের ১০০ দিনে কেন্দ্রীয় হারে DA-এর দাবিতে মিছিল করেন যৌথ মঞ্চ। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট ধরে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়। পরে সেখানেই সভা করা হয়। সেই সভামঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারি বর্ধিত হারে মহার্ঘ্যভাতা দেওয়া সত্ত্বেও, আন্দলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র দাবিতে কাজ বন্ধ করার কু পরামর্শ দেন কৌস্তভ বাগচীর মতো স্বঘোষিত ‘নাটুকে’ নেতারা।

একধাপ এগিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শীর্ষ আদালতে বারবার ডিএ মামলা পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে মামলা হলে তিন দিনে ডেট চলে আসে। আর ডিএ মামলা ডিসেম্বর থেকে জুলাইতে চলে যায়। এইসব পিছনের খেলা আমরা জানি।“ রাজনৈতিক মহলের মতে, ঔদ্ধত্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতকেও আক্রমণ করতে বাধছে না বিজেপি নেতার। তোপ দেগে কুণাল ঘোষ বলেন, “আদালতে মামলার তারিখ কী হবে সে তো আদালত ঠিক করে। সুপ্রিম কোর্টের উচিত শুভেন্দুকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা পর্দার পিছনের খেলাটা কী!”
এরপরেই শুভেন্দুর নিদান, ”কোথাও কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে, মৃত্যু হলে আমায় খবর দিন। মৃতদেহ নিয়ে সোজা কালীঘাটে পৌঁছে যাব।” তাঁর এই মন্তব্যে পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূলও। এই মন্তব্যের রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষরা তীব্র নিন্দা করে বলেন, ”ও অনুশোচনাহীন, মানবিকতার ত্রিসীমানায় থাকে না। ক্রিমিনাল মাইন্ডেড। ওকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত।”

তবে, যে আন্দোলনকে এতদিন রাজনৈতিক রংহীন বলে দাবি করতেন সরকারির কর্মচারীদের একাংশ, সেটা যে বিরোধীদের গোপন আঁতাঁতের মঞ্চে তা এদিন স্পষ্ট হয়েছে। একে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, ”ওটা ডিএ মিছিল নয়, বিরোধী দলগুলির অতৃপ্ত আত্মাদের রাজনৈতিক সমাবেশ।”

 

 

 

Previous articleহা.মলা থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে পুতিন, জনসমক্ষে তাঁর ডামি!
Next articleশেষ মুহূর্তে প্রচারে কর্নাটকে ২৬ কিমি রোড শো মোদির, তোপ কংগ্রেসকে