জ.ঙ্গি দমনে জিরো টলারেন্স! জম্মু সফরে রাজনাথ-সেনা প্রধান

শনিবার সকাল থেকে রাজৌরির পাশাপাশি সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয় বারামুল্লাতেও। বারামুল্লা পুলিশ, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফের যৌথ দল এলাকা ঘিরে ফেলে এবং অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে কুঞ্জের থানার অন্তর্গত করহামা গ্রামে।

বিগত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) উপত্যকার পরিস্থিতি। গত কয়েক সপ্তাহে জঙ্গি হামলায় (Terrorist Attack) শহিদ হয়েছেন বহু সেনাকর্মী। এরই মধ্যে জঙ্গিদের খতম করতে তল্লাশি জারি রেখেছে সেনা ও পুলিশ। এই আবহে শনিবার সকাল থেকেই উপত্যকার দুই জায়গায় এনকাউন্টার (Encounter) চলছে। সেই অশান্তির মধ্যেই নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবারই জম্মু পৌঁছলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এবং সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে (Manoj Pandey)।

তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই সফরের আগেই শনিবার সকালে আকাশপথে কাশ্মীরে পৌঁছেন নর্দার্ন সেনা কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। উপত্যকার রাজৌরিতে চলা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ‘ত্রিনেত্র’র পর্যালোচনা করেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল সেনার এক ট্রাকে হামলা চালিয়ে ৫ জওয়ানকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। এরপর থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে রাজৌরি। এরপরই জঙ্গিদের ধরতে ‘অপারেশন ত্রিনেত্র’ (Operation Trinetra) শুরু করে ভারতীয় সেনা। তবে সেই অভিযানে শুক্রবারই ৫ সেনাকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। তবে তাতে অবশ্য অভিযানে ছেদ পড়েনি। জারি রয়েছে তল্লাশি। এই আবহে শনিবার ভোররাতে জঙ্গিদের গোপন ডেরার খোঁজ পায় সেনা জওয়ানরা। শুরু হয় গুলির লড়াই।

এদিকে শনিবার সকাল থেকে রাজৌরির পাশাপাশি সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয় বারামুল্লাতেও। বারামুল্লা পুলিশ, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফের যৌথ দল এলাকা ঘিরে ফেলে এবং অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে কুঞ্জের থানার অন্তর্গত করহামা গ্রামে। অপারেশন চলাকালীন নিরাপত্তাবাহিনীর উপর গুলি চালানো হয় এবং এরপর জওয়ানরাও পালটা গুলিবর্ষণ করেন। তাতে লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গি নিহত হয়। আর এই আবহে রাজনাথ ও সেনা প্রধানের জম্মু সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

 

 

Previous articleবর্ষার আগেই মশা বাহিত রো.গ রুখতে ক.ড়া পদক্ষেপ রাজ্যের!
Next articleচণ্ডীপুরকাণ্ডে ফের শুভেন্দুর গ্রে.ফতারি-পদত্যাগ চাইল তৃণমূল