চণ্ডীপুরকাণ্ডে ফের শুভেন্দুর গ্রে.ফতারি-পদত্যাগ চাইল তৃণমূল

বিরোধী দলনেতার পদে থাকার কোনও কোনও নৈতিক অধিকার নেই, অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি করেন শশী পাঁজা। গ্রেফতারের দাবি তোলেন কুণাল ঘোষ।

চণ্ডীপুরে বিরোধী দলনেতার কনভয়ের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু কাণ্ডে ফের শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গ্রেফতারি (Arrest) নিয়ে সরব হল তৃণমূল (TMC)। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja) এবং দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবি করেন। বিরোধী দলনেতার পদে থাকার কোনও কোনও নৈতিক অধিকার নেই, অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি করেন শশী পাঁজা।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে শশী পাঁজা বলেন, ” ওরা (শুভেন্দু অধিকারী) বুলডোজার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাই একটা নিরীহ তরতাজা যুবককে বুলডোজ করে চলে গিয়েছে। প্রতিবাদ হয়েছে। আসানসোলেও এমন ঘটেছিল। সেখানেও ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখনও ফিরে তাকাননি। অমানবিক।” মন্ত্রীর আরও সংযোজন, ”উনি একজন বিধায়ক। আর একজন বিধায়ক আইন ভাঙলে বলতে হচ্ছেই, তাঁর বিধায়ক হওয়ার যোগ্যতা নেই। কারণ, বিধায়কদের কাজ আইন প্রণয়ন করা, আইন ভাঙা নয়। শুভেন্দু অধিকারীর কোনও গ্লানি নেই। বিবেক নেই। অনুশোচনা নেই। অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। ওনাকে গ্রেফতার করা হোক। এরা বাংলাকে ধ্বংস করছেন। বাংলার ভালো চান না। আমরা আর্থিক সহায়তা করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি।”

এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির কেউ কেউ যে কোনও দুর্ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে চণ্ডীপুরের ঘটনাকে। আজ আবার শুভেন্দু বড় বড় কথা বলছে। ওটা জনবহুল এলাকা। উচ্চগতিতে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য অতীতেও প্রতিবাদ হয়েছে। তাতেও শিক্ষা হয়নি। একজন মানুষকে মেরে পালিয়ে গেল। অমানবিক। মানুষকে নিয়ে ছেলেখেলা। ক্ষমতায় নেই, তাতেই এমন হচ্ছে। একটু ক্ষমতা পেলে মৃত্যু মিছিল শুরু হবে। নির্লজ্জ বেহায়া মেরুদন্ডহীন। ক্রিমিনাল মনোভাবের। ওকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। কম্বল কাণ্ডে আসানসোলের ওই বাড়িগুলিতেও যায়নি।

প্রসঙ্গত, শনিবার মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তীব্র ভাষায় তার নিন্দা করেন এই ঘটনার। তাঁর কথায়, ”বিরোধী দলনেতার গাড়ি একজনকে পিষে দিয়ে চলে গেল। মৃত যুবক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী এত অমানবিক, নিষ্ঠুর, নির্দয় যে দুর্ঘটনার পর যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে তাঁর গাড়ি ১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টায় দ্রুতগতিতে চলে গেল! তাহলে ভাবুন, এরা ক্ষমতায় থাকলে কী না কী করত!” মৃত শেখ ইসরাফিলের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে অভিষেক বলেন, ”আমরা সবসময় তাঁদের পাশে আছি। তৃণমূলের তরফে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।”

 

 

Previous articleজ.ঙ্গি দমনে জিরো টলারেন্স! জম্মু সফরে রাজনাথ-সেনা প্রধান
Next articleহা.মলা থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে পুতিন, জনসমক্ষে তাঁর ডামি!