মণিপুরের হিংসার ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫৪ জন মানুষ। তফসিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে মেটেই জনজাতির বিক্ষোভে অশান্ত ছড়িয়েছে মণিপুরে (Manipur)। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শনিবার টুইট করে উদ্বেগপ্রকাশ করে বাংলার বাসিন্দাদের নিরাপদে উদ্ধার করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি। চালু করলেন হেল্পলাইন নম্বরও (Helpline Number)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যাঁরা অশান্ত মণিপুর থেকে বাংলায় ফিরে আসতে চান, তাঁরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে সাহায্য পাবেন। ইতিমধ্যে মুখ্যসচিবকে মণিপুর সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে মানুকে উদ্ধার করতে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “মণিপুর থেকে আর্ত মানুষের বার্তা পাচ্ছি। বিষয়টি অত্যন্ত চিন্তার। আমি ওখানকার মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। দেশের নানা প্রান্তের বহু মানুষ ওখানে আটকে রয়েছেন। তবে রাজ্য সরকার সবসময় তাঁদের পাশে রয়েছে। মুখ্যসচিবকে বলেছি, মণিপুর সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ওখান থেকে যাঁরা ফিরতে চায়, তাঁদের সাহায্য করতে।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেন। চালু করা হেল্পলাইন নম্বর হল – ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ ও ০৩৩-২২৫৩১৮৫। এই দুটি নম্বরে ফোন করলেই মিলবে সমাধান।
Deeply anguished by the kind of messages and sos we are receiving from Manipur. I am concerned about the safety of the people of Manipur and others hailing from different parts of the country, now stranded there. Govt of Bengal is committed to stand by the people & has decided to…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 6, 2023
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই জাতিগত হিংসার সাক্ষী থেকেছে মণিপুর। এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও বিক্ষিপ্তভাবে এখনও হিংসার ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখতে আরও বেশি সংখ্যক সেনা জওয়ান পাঠানো হয়েছে উত্তর পূর্বের রাজ্যে। বর্তমানে ভারতীয় সেনা এবং অসম রাইফেলসের প্রায় ১০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে মণিপুরের হিংসায় মৃতের সংখ্যা প্রকাশ্যে এসেছে। সরকারি হিসেবে এই হিংসায় এখনও পর্যন্ত মোট ৫৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত ১৩ হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকেই অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে।