মোদির বিরুদ্ধে মুখে কুলুপ! কংগ্রেসের অভিযোগে নীরব নির্বাচন কমিশন

কংগ্রেস সাফ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। কিন্তু, অভিযোগ দায়েরের পর প্রায় ৩ দিন কেটে গেলেও বিষয়টি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি নির্বাচন কমিশন।

দিনকয়েক আগেই কর্ণাটকে নির্বাচনী (Karnataka Election Campaign) প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে বেলাগাম আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বেল্লারির সভায় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস তলে তলে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। তাই উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেই তাদের পেট ব্যথা করে। আর নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সহ তাঁর ভাষণের বিস্তারিত অংশ নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেস সাফ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। কিন্তু, অভিযোগ দায়েরের পর প্রায় ৩ দিন কেটে গেলেও বিষয়টি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। আর এরপরই উঠছে প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের যোগাযোগ স্পষ্ট। আর সেকারণেই প্রধানমন্ত্রী সমস্তরকম অভিযোগের উপরে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েও লাভের লাভ কিছুই হবে না। আর কংগ্রেসের এমন অভিযোগের পরই মোদি ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের মৌনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কংগ্রেস কর্নাটকের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির রেট কার্ড প্রকাশ করেছে। সরকারের কোন কাজের জন্য কত টাকা সাধারণ মানুষকে ঘুষ দিতে হয় তার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আগেও একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে কমিশনে জমা পড়েছিল বিস্তর অভিযোগ। কিন্তু মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ বাকি দুই কমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে নির্দোষ ঘোষণা করেন। আর সেই বিতর্ক কম হয়নি।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন দলত্যাগী কংগ্রেসের আইনজীবী কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। তিনি বর্তমানে সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ। রবিবার কমিশনকে লেখা চিঠিতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কমিশন চুপ। তাঁর প্রশ্ন কমিশন কি প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে ভয় পাচ্ছে?

 

 

Previous articleবিজেপি বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে এবার নবীনের কাছে নীতীশ, তালিকায় হেমন্তও
Next articleবড়সড় না*শকতা এড়াল পুলওয়ামা,বিপুল পরিমাণ আই*ইডি উদ্ধার