ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ‘মোকা’, গতিপথ বদলে আছড়ে পড়বে বাংলাদেশে!

আবহবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণেই রাজ্য থেকে জলীয় বাষ্প বঙ্গোপসাগরের দিকে চলে যাচ্ছে। তাই আপাতত গরমের দু.র্ভোগ সহ্য করতে হবে বঙ্গবাসীকে।

ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ (Cyclone Mocha)। হাওয়া অফিসের (Weather Department) কথা বলছেন অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আগামী রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে (Bangladesh) আছড়ে পড়বে মোকা। প্রাথমিকভাবে মায়ানমারের সীমান্ত উপকূলের নাম উঠে এলেও আজ পর্যন্ত যা সম্ভাব্য গতিপথ তৈরি হয়েছে তাতে বাংলাদেশে দাপট দেখাতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) থাকা নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আপাতত এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। তবে যেভাবে সাগর উত্তাল হচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে প্রতি ঘন্টায় নিজের গতিবেগ বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Department) তরফে জানানো হয়েছে ১০ থেকে ১২ পর্যন্ত সমুদ্রের উপর শক্তি বাড়াবে মোকা (Mocha)। সেই সময় সমুদ্রের মধ্যভাগ উত্তাল হবে। তারপরই ধীরে ধীরে স্থলভাগে তার প্রভাব পড়তে শুরু করবে।

 

প্রতিমুহূর্তে নিজের গতিপথ বদলাবার সম্ভাবনা তৈরি করছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। এখনো পর্যন্ত যা খবর তাতে আগামী রবিবার দুপুরের পর থেকেই মোকার সম্ভাব্য ল্যান্ডফল হতে চলেছে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে তখন গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। কক্সবাজার এবং মায়ানমার উপকূলের মাঝামাঝি দিয়ে সাইক্লোনটি আগামী ১৪ মে অতিক্রম করবে। তবে এটি যখন ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে, তখন আরও স্পষ্ট করে এর গতিপথ বোঝা যাবে। সাইক্লোন মোকাবিলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে বাংলাদেশে। এই নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে হাসিনা সরকার।

এরাজ্যে মোকার প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও , ১৪ মে দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে। আগামী ১২ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত এই রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় চলবে তাপপ্রবাহ। আজ বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটির মাঝে গরমে পুড়বে বাংলার একাধিক জেলা। বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। শুক্রবার তাপপ্রবাহ বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের রেশ কাটিয়ে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে আবার রবিবার। আবহবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণেই রাজ্য থেকে জলীয় বাষ্প বঙ্গোপসাগরের দিকে চলে যাচ্ছে। তাই আপাতত গরমের দুর্ভোগ সহ্য করতে হবে বঙ্গবাসীকে।


 

Previous articleরজ.স্বলা বোনের জামায় র.ক্ত, ১২ বছরের কিশোরীকে গরম ছ্যাঁ.কা দাদার!
Next articleশহিদ মিনারে অবস্থান বি.ক্ষোভে ‘না’, হাই কোর্টে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল সেনাবাহিনী