প্রসূতি মৃ.ত্যুর হার কমাতে বিশেষ উদ্যোগ, আধিকারিকদের কড়া বার্তা স্বাস্থ্য দফতরের

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনে আয়োজিত একটি বৈঠকে এই বিষয়ে সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে অনর্থক সিজার নিয়েও।

সিজার পরবর্তী সময়ে প্রসূতির যে যত্ন নেওয়ার কথা, তা অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকঠাকভাবে নেওয়া হচ্ছে না। আর সেকারণেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ সহ একাধিক কারণে এড়ানো যাচ্ছে না প্রসূতি মৃত্যুর (New Born Baby) সংখ্যা। আর সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এবার বড় উদ্যোগ রাজ্য সরকারের (West Bengal Government)। রাজ্যের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, এবার বেসরকারি হাসপাতাল (Private Hospital) বা নার্সিংহোমে (Nursing Home) প্রসূতি বা সদ্যোজাতর মৃত্যুর বিশদ তথ্য সরকারি ‘মাতৃ মা’ পোর্টালে নথিভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি পোর্টালে কিভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে সেই বিষয়ে হাসপাতালগুলির প্রশিক্ষণ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনে আয়োজিত একটি বৈঠকে এই বিষয়ে সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে অনর্থক সিজার নিয়েও। তবে শুধু সরকারিই নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিও যাতে মাতৃ-মা পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে পারে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। এছাড়াও, এসএনসিইউ-তে (SNCU) পরিচ্ছন্নতার অভাবে অনেক সময় সেপসিস হয়ে মারা যাচ্ছে সদ্যোজাতেরা, সেই বিষয়েও কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, প্রসূতি ও শিশুর মৃত্যু প্রত্যাশামতো কমানো যাচ্ছে না বরং কিছু ক্ষেত্রে বেড়ে গিয়েছে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেই মায়ের মৃত্যুর ঘটনা। আর সেকারণেই এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতর সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ব্লক স্তরে যেখানে যেখানে ডেলিভারি হয়, সেই সমস্ত জায়গায় কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেখতে হবে বাড়ি নয়, সন্তান যেন হাসপাতালেই প্রসব করে। তবে গত এক দশকে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বেড়ে গিয়েছে সিজারের সংখ্যা। তার একটি কারণ যেমন গ্রাম বাংলায় বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি, তেমনই অপর কারণ হল, সরকারি হাসপাতালে অ্যানাস্থেটিস্টের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিজ্ঞতা হলো, সিজ়ার পরবর্তী সময়ে যে যত্ন প্রসূতির নেওয়ার কথা, তা অনেক ক্ষেত্রেই নেওয়া হচ্ছে না। ফলে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং অন্য নানা কারণে এড়ানো যাচ্ছে না প্রসূতির মৃত্যু। স্বাভাবিক প্রসবের হার যেখানে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ও সিজারের হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হওয়া উচিত, সেখানে শহরাঞ্চলে সিজারের হার প্রায় ৪৫ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

 

 

Previous articleউচ্চ শিক্ষার পাঠ্যক্রমে বৈদিক অঙ্ক যোগের নির্দেশিকা জারি ইউজিসির
Next articleপকসো মাম.লার রায়ের ক্ষেত্রে স.তর্ক হতে হবে বিচারকদের : দিল্লি হাইকোর্ট