গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি,রাজ্য জুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি

রাজ্যের ২০টি শহরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে ছিল। আগামী ১২মে পর্যন্ত রাজ্যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

সকাল হতে না হতেই চড়া রোদ। বেলা গড়ালেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। রাজ্যে গত কয়েক দিন ধরেই তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি বজায় রয়েছে।বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। রাজ্যের ২০টি শহরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে ছিল। আগামী ১২মে পর্যন্ত রাজ্যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

তাপপ্রবাহের দোসর আবার লু। দুপুরের পর থেকে বইবে লু। এমনই সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দহন অসুরের তাণ্ডবে কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে পরিস্থিতি। এবার তাপপ্রবাহের জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার তাপমাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে লু অর্থাৎ এই বিশেষ ধরনের গরম হাওয়া বইতে শুরু করবে দুপুর থেকেই।

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলায় লু বইতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। গতকালই তাপপ্রবাহের কারণে এই সব জেলার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও ২ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত চড়বে পারদ। কাজেই লু বওয়ার সবরকম পরিস্থিতি তৈরি হবে এই জেলা গুলিতে।
এই সময় বাড়ির বাইরে বেরোতেই হলে নাক-মুখ ঢেকে বেরোতে হবে। যাতে গরম হাওয়া সরাসরি শরীরে না লাগে। প্রচুর পরিমানে টক এবং কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এতে শরীর ঠাণ্ডা থাকে।

 

Previous articleচালকের গাফিলতিতেই লাইনচ্যুত বর্ধমান-ব্যান্ডেল লোকাল, প্রাথমিক তদন্তের পর জানাল রেল
Next articleমহারাষ্ট্রে বহাল শিন্ডে সরকার, রায় সুপ্রিম কোর্টের