ফের রাজ্যের সেরা জেলা হাসপাতালের তকমা পেল এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল

শুক্রবার ২০২২-২৩ সালের ‘সুশ্রী কায়াকল্প’ ফল প্রকাশ করছে স্বাস্থ্যী দফতর। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ১৩টি জেলা হাসপাতাল, ৩০টি সাবডিভিশন, ১৬টি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, ২৭৪টি গ্রামীন ও ব্লক প্রাথমিক হেলথ সেন্টার এবং ৫৭৬টি প্রাথমিক হেলথ সেন্টারকে স্বাস্থ্যামন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

পরপর তিন বছর রাজ্যে সেরা জেলা হাসপাতালের (Best Hospital) তকমা পেল টালিগঞ্জের এম আর বাঙুর হাসপাতাল (MR Bangur Hospital)। স্বাস্থ্য পরিষেবার উৎকর্ষতায় কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথ প্রকল্প সুশ্রী-কায়াকল্পে নয়া এই পালক উঠলো এম আর বাঙ্গুরের মুকুটে। প্রাথমিক থেকে জেলা পর্যন্ত দেশের সব হাসপাতালের পরিকাঠামো ও চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ‘ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেম রির্সোস সেন্টার’ (National Health System Resource Centre) সব হাসপাতালগুলির অবস্থা পর্যবেক্ষন করে। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘সুশ্রী কায়াকল্প।’ মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমানো, হাসপাতালের আউটডোর, ইন্ডোর, অপারেশন থিয়েটারের সংক্রমন নিয়ন্ত্রণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিচার করে দেখা হয় হাসপাতাল কতটা পরিবেশ বান্ধব। কেন্দ্রের তালিকা মেনে স্বাস্থ্যর দফতর পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত প্রাথমিক থেকে জেলা পর্যন্ত সব হাসপাতালের মূল্যায়ন করে। আর সেই মূল্যায়নে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল পরপর তিনবার প্রথম স্থান পেল।

শুক্রবার ২০২২-২৩ সালের ‘সুশ্রী কায়াকল্প’ ফল প্রকাশ করছে স্বাস্থ্যী দফতর। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ১৩টি জেলা হাসপাতাল, ৩০টি সাবডিভিশন, ১৬টি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, ২৭৪টি গ্রামীন ও ব্লক প্রাথমিক হেলথ সেন্টার এবং ৫৭৬টি প্রাথমিক হেলথ সেন্টারকে স্বাস্থ্যামন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। বিশেষজ্ঞ দল জেলা থেকে প্রাথমিক পর্যন্ত সব হাসপাতাল পর্যবেক্ষন করেন বিশেষজ্ঞ দল। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল। গতবছর শিলিগুড়ি হাসপাতালের সঙ্গে যৌথভাবে প্রথম হয় এই হাসপাতাল। ফের চলতি বছরে প্রথম স্থান পেল কলকাতার এই হাসপাতাল। তবে প্রথম স্থানাধিকারী তিন বছরের জন্য ৫ লাখ টাকা পুরস্কার পায়। কিন্তু এবার প্রথম হলেও পুরস্কারের অর্থ পাবে না বাঙ্গুর হাসপাতাল।

হাসপাতালের সুপার ডঃ শিশির নস্করের কথায়, শুধুমাত্র নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন হলেই হবে না। গতবছরের থেকে অন্তত ৫শতাংশ বেশি নম্বর পেতে হবে। তবেই সেই টাকা মিলবে। বাঙুর চলতি বছর ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। অন্য৫দিকে, দ্বিতীয় হয়েও বালুরঘাট প্রথম পুরস্কার পেল। শিশিরবাবুর কথায়, হাসপাতালের সাফাই কর্মী থেকে চিকিৎসক সবার ঐকান্তিক উদ্যোগেই টানা তিনবার সেরার তকমা পেল বাঙ্গুর হাসপাতাল।

 

 

Previous articleসিবিএসই-র দ্বাদশের পর দশমের রেজাল্ট আউট! কীভাবে দেখা যাবে রেজাল্ট জেনে নিন
Next articleকলকাতার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে নজির গড়েন চ‍্যাহাল