Thursday, December 4, 2025

হাইকোর্টে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল: উচ্চ আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত পর্ষদ সভাপতির

Date:

Share post:

প্রাথমিক নিয়োগে ২০১৬ সালের নিয়োগে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court)। পাশাপাশি ৩ মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের এহেন নির্দেশের পর সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) সভাপতি গৌতম পাল(Gautam Paul) জানিয়ে দিলেন, এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করবে শিক্ষা পর্ষদ। যার জন্য ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু হয়েছে। এদিন গৌতমবাবু স্পষ্ট জানান, “আমরা দ্বর্থহীন ভাষায় বলছি, যে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক এখন চাকরি করছেন, তাঁরা কেউ এখন অপ্রশিক্ষিত নেই।” পর্ষদ সভাপতির দাবি, বোর্ড প্রত্যেককে ওডিএল মোডে প্রশিক্ষিত করিয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হয়েছে। এনসিটিই নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট দাবি, “এখন আর কেউ অপ্রশিক্ষিত নেই।”

আদালতের অ্যাপটিটিউড টেস্টে বেনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি জানান, “আমরা হলফনামা জমা দিয়েছিলাম আদালতে। প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল, ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেককে নম্বর দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই প্রমাণিত অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল।” পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, “আমরা খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। কারণ, যাঁরা এখন চাকরি করছেন, তাঁদের সমস্ত যোগ্যতামান রয়েছে। তাঁদের চাকরি চলে গেলে, পর্ষদ সেই দায়িত্ব অস্বীকার করবে… তা হতে পারে না। আমি নির্দ্বিধায় বলছি, পর্ষদ সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেবে। বোর্ড যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে বিরাট বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।”

উল্লেখ্য, শুক্রবার ২০১৬ সালে নিয়োগ মামলার রায়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হবে এবং ৩ মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল তৈরি করে নিয়োগ হবে। সেক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন তাদের পরীক্ষায় বসার প্রয়োজন নেই, তারা সরাসরি ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যদের চাকরি পুরোপুরি বাতিল। তবে চাইলে তারা নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। তবে এখনই কারও চাকরি যাবে না। আগামী চার মাস তাঁরা চাকরি করবেন। তবে পার্শ্ব শিক্ষকের স্তরে বেতন পাবেন। এর পাশাপাশি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আর জানান, যার গাফিলতিতে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে, সরকার চাইলে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমস্ত খরচ তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে।

spot_img

Related articles

বচ্চন পরিবারকে বয়কটের দাবি মায়ানগরীর ফটোগ্রাফারদের!

ছবি শিকারীদের অপমান, যোগ্য জবাব পেলেন বলিউডের বর্ষীয়ান 'অ্যাংরি উইম্যান' জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। এবার তিনিসহ গোটা বছর...

আজ বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভা, তৃণমূল সুপ্রিমোর বার্তা শুনতে রেকর্ড জমায়েতের সম্ভাবনা

জেলা সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যে এসআইআর (SIR) পরিস্থিতি ও বিজেপির ক্রমাগত উস্কানির রাজনীতির মধ্যে...

হেমন্ত সোরেন যোগ দিচ্ছেন NDA-তে! জবাব দিলেন কংগ্রেসের বেণুগোপাল

পাঁচদিনের জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। এমন নয় প্রথমবার। তাতেই গোদি মিডিয়া তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু করে...

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...