Monday, November 10, 2025

হাইকোর্টে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল: উচ্চ আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত পর্ষদ সভাপতির

Date:

প্রাথমিক নিয়োগে ২০১৬ সালের নিয়োগে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court)। পাশাপাশি ৩ মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের এহেন নির্দেশের পর সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) সভাপতি গৌতম পাল(Gautam Paul) জানিয়ে দিলেন, এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করবে শিক্ষা পর্ষদ। যার জন্য ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু হয়েছে। এদিন গৌতমবাবু স্পষ্ট জানান, “আমরা দ্বর্থহীন ভাষায় বলছি, যে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক এখন চাকরি করছেন, তাঁরা কেউ এখন অপ্রশিক্ষিত নেই।” পর্ষদ সভাপতির দাবি, বোর্ড প্রত্যেককে ওডিএল মোডে প্রশিক্ষিত করিয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হয়েছে। এনসিটিই নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট দাবি, “এখন আর কেউ অপ্রশিক্ষিত নেই।”

আদালতের অ্যাপটিটিউড টেস্টে বেনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি জানান, “আমরা হলফনামা জমা দিয়েছিলাম আদালতে। প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল, ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেককে নম্বর দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই প্রমাণিত অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল।” পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, “আমরা খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। কারণ, যাঁরা এখন চাকরি করছেন, তাঁদের সমস্ত যোগ্যতামান রয়েছে। তাঁদের চাকরি চলে গেলে, পর্ষদ সেই দায়িত্ব অস্বীকার করবে… তা হতে পারে না। আমি নির্দ্বিধায় বলছি, পর্ষদ সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেবে। বোর্ড যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে বিরাট বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।”

উল্লেখ্য, শুক্রবার ২০১৬ সালে নিয়োগ মামলার রায়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হবে এবং ৩ মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল তৈরি করে নিয়োগ হবে। সেক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন তাদের পরীক্ষায় বসার প্রয়োজন নেই, তারা সরাসরি ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যদের চাকরি পুরোপুরি বাতিল। তবে চাইলে তারা নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। তবে এখনই কারও চাকরি যাবে না। আগামী চার মাস তাঁরা চাকরি করবেন। তবে পার্শ্ব শিক্ষকের স্তরে বেতন পাবেন। এর পাশাপাশি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আর জানান, যার গাফিলতিতে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে, সরকার চাইলে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমস্ত খরচ তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে।

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...
Exit mobile version