সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তার জের! বহরমপুরে ম.র্মান্তিক পরিণতি বাবা-ছেলের

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম কার্তিক চক্রবর্তী (৫৩) এবং তাঁর ছেলে কারণ্য চক্রবর্তী (৮)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী কার্তিক চক্রবর্তীর ছেলে কারণ্য চক্রবর্তী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।

ছেলে আর পাঁচজন স্বাভাবিক মানুষের মতো নয়, সে মানসিক ভারসাম্যহীন। ভবিষ্যতে ছেলের কী হবে তা নিয়ে সবসময় মাথায় দুশ্চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে তার পরিণতি যে এতটা মর্মান্তিক হতে পারে তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এলাকাবাসীরা। রবিবার সকালে এমনই হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী হলেন, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের পিলখানা রোডের বাসিন্দারা। মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন বাবা। এদিন এলাকাবাসীরা বাবা ও ছেলেকে একই গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের (Post Mortem) জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম কার্তিক চক্রবর্তী (৫৩) এবং তাঁর ছেলে কারণ্য চক্রবর্তী (৮)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী কার্তিক চক্রবর্তীর ছেলে কারণ্য চক্রবর্তী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। শনিবার রাতে কার্তিকবাবু নিজের দোকান থেকে ফিরে স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রী রোমা চক্রবর্তী এবং ছেলের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সারেন। পরে ছেলের সমস্যা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হয় স্ত্রীর সঙ্গে। প্রতিবেশীদের সন্দেহ, তখনই ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাড়ির সামনে কাঁঠাল গাছে ঝুলিয়ে কার্তিক। পরে নিজেও ওই গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। তবে আচমকা কীভাবে এমন ঘটনা ঘটে গেল তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কার্তিকের স্ত্রী রুমা চক্রবর্তী। তিনি জানান, দেরি করে বাড়ি ফেরা নিয়ে রাতে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। ছেলেকে নিয়ে ও সবসময় চিন্তা করত। তবে তার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেবে তা কখনও ভাবতে পারিনি।

এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা। স্থানীয়দের দাবি, ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অবসাদে ভুগতেন কার্তিক। আর সেই অবসাদ থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের। ইতিমধ্যে বাবা ও ছেলের দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে আছে কী না তা জানার চেষ্টা চলছে।

 

 

Previous articleসুস্থ হচ্ছেন রাহুল, ছবি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়
Next articleগ্রামের রাস্তায় আলো নেই: অভিষেকের কাছে আর্জি বিজেপি কার্যকর্তার, মিলল আশ্বাস