সুকান্তর ক্ষমা চাওয়া নাটক, বীরবাহার কাছে কেন ক্ষমা চাইলেন না? প্রশ্ন তৃণমূলের

‘কাপড় খুলে নেব’, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের তথা মেদিনীপুরের সাংসদের মন্তব্যে চটে লাল কুড়মি সম্প্রদায়। এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষকে ‘ক্ষমা’ চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন কুড়মি সম্প্রদায়। তবে নিজের মন্তব্যে অনড় দিলীপ। এদিকে দিলীপের মন্তব্যে জেরে কুড়মিদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এই ক্ষমা চাওয়ার ঘটনাকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন,”সুকান্তর এখন মনে হচ্ছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। শুভেন্দু অধিকারী যখন বলেছিল এই বীরবাহা হাঁসদা আমার জুতার নীচে থাকে তখন সুকান্ত ক্ষমা চাইতে পারেনি?সুকান্তর যদি ওত সৎসাহস থাকত, দুজনের ক্ষেত্রেই ক্ষমা চাইত।”

আরও পড়ুন:টানা পাঁচদিন ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ!জারি কমলা সতর্কতা
মঙ্গলবার সল্টলেকের ইজেডসিসিতে রোজগার মেলার অনুষ্ঠানে আসেন সুকান্ত। সেই সময় তাঁকে কুড়মি ও দিলীপের সঙ্ঘাত প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি ওনাদের মনে হয়, রাজ্য সভাপতি হিসেবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিলে ওঁনারা শান্ত হবেন… আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে ওনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’দিলীপের বদলে সুকান্তের এই ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়া ,”সুকান্ত মজুমদার নাটক করছেন। উঁনি দিলিপবাবুকে দেখতে পারেন না। দিলীপ ঘোষ অন্যায় করেছেন। কিন্তু সুকান্তর এখন মনে হচ্ছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। শুভেন্দু অধিকারী যখন বলেছিল এই বীরবাহা হাঁসদা আমার জুতার নীচে থাকে তখন সুকান্ত ক্ষমা চাইতে পারেনি? আসলে সুকান্ত দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে শুভেন্দুদের চামচাবাজি করে। শুভেন্দুদের সঙ্গে চলে।তোলাবাজের সঙ্গে চলে। আর দিলীপ ঘোষকে কোণঠাঁসা করে। সুকান্তর যদি ওত সৎসাহস থাকত, দুজনের ক্ষেত্রেই ক্ষমা চাইত।”
অন্যদিকে,দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের ক্ষমা চাওয়ার পরও কুড়মি সম্প্রদায়ের বরফ গলেনি। কুড়মিদের বক্তব্য, দিলীপ ঘোষের বদলে কেন সুকান্ত মজুমদার ক্ষমা চাইবেন?
প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষকে ঘিরে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় রবিবার।লালগড়ে এক দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পথ আগলে বিক্ষোভ দেখান কুড়মি আন্দোলনকারীরা। সরাসরি সাংসদকে তাঁরা প্রশ্ন করেন, একজন জপ্রতিনিধি হয়ে তিনি কুড়মিদের জন্য কী করেছেন?
ঠিক তার পরের দিন সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে কুড়মিদের উদ্দেশে দিলীপ বলেন, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে কাপড় খুলে দেব। দিলীপ ঘোষের পিছনে যেন লাগতে না আসে। ক্ষমতা থাকলে যতজন মাহাতো এমপি, এমএলএ আছে রিজাইন করাক। আমি ওদের সঙ্গে আছি থাকব। আমার এলাকায় যাঁরা বসেছিলেন তাঁদের আমি সাহায্য করেছি।’
দিলীপের এই মন্তব্যের পর বিতর্ক আরও বাড়ে। সোমবার এই নিয়ে চলে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ঝাড়গ্রামের পার্টি অফিসও ঘেরাও করে কুড়মিরা। দিলীপ ঘোষের বাড়িও ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এমনকি ব্রিহত্তর আন্দোলনে নামার কথাও জানিয়ে দেন কুড়মিরা। মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ ক্ষমা না চাইলেও খানিকটা সুর নরম করে বলেন, ‘কুড়মি আন্দোলনকে বিপথগামী করার চেষ্টা চলছে। বিজেপির বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’

 

Previous articleটানা পাঁচদিন ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ!জারি কমলা সতর্কতা
Next articleঝড়বৃষ্টিতে মৃ*ত ৯ জনের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর