দেশের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ হিসাবে ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়ে রেকর্ড গড়ল চুঁচুড়ার বর্ণালী

মাত্র ছয় বছর বয়সে জিতে নিয়ে ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম সর্ব কনিষ্ঠ হিসাবে এই যোগ্যতা অর্জন করে রেকর্ড করেছে বর্ণালী।

এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়ে রেকর্ড করল হুগলি জেলার চুঁচুড়ার বাসিন্দা বর্ণালী চন্দ। তার নাম উঠেছে একাধিক রেকর্ড বুকেও।মাত্র ছয় বছর বয়সে ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্টের অধিকারী এই খুদে। যে বয়সে অন্য খুদেদের হাতে পায়ে চাঞ্চল্য থাকে সেই বয়সে হাত পায়ে সঠিক দিশা রেখে । ব্ল্যাক বেল্ট জিতে রেকর্ড গড়েছে বর্ণালী। সেন্ট থমাস স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী বর্ণালী।ক্যারাটে পরিভাষায় এই বয়সেই দশটি কাতা পার করে ব্ল্যাক বেল্ট জিতে নিয়েছে এই খুদে।যে ব্ল্যাক বেল্ট জিততে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর সময় লাগে তা মাত্র ছয় বছর বয়সে জিতে নিয়ে ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম সর্ব কনিষ্ঠ হিসাবে এই যোগ্যতা অর্জন করে রেকর্ড করেছে বর্ণালী।

বাবার হাত ধরে মাত্র তিন বছর বয়সেই ক্যারাটেতে হাতে খড়ি হয় বর্ণালীর।চন্দননগরের অমিতাভ ঘোষের কাছে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শুরু হয় বর্ণালীর।করোনার সময় যখন স্কুল কলেজ বন্ধ সেই সময়ে বেশি সুযোগ পেয়ে দুবেলা চুঁচুড়ার মাঠে প্রশিক্ষণ নিয়ে গেছে বর্ণালী।তার ক্যারাটেতে আগ্রহ দেখে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে গেছেন তার ক্যারাটে শিক্ষক অমিতাভ ঘোষ।বর্ণালী ইতিমধ্যেই ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড,ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড,কালাম ওয়াল্ড রেকর্ড,ওএমজি বুক অফ রেকর্ড,আমেরিকা বুক অফ রেকর্ড ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে বর্ণালী।আর লিমকা বুক অফ রেকর্ড ও গিনিস বুক অফ রেকর্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।এতো কম বয়সে এতো রেকর্ডের অধিকারী বর্ণালী বলেছে, আমি ক্যারাটেতে দশটি কাতা জানি।প্রত্যেকেরই ক্যারাটে শেখা উচিৎ।আত্মরক্ষায় কাজ দেবে ক্যারাটে।

বাবা সুজয় চন্দ বলেন, মেয়ের ক্যারাটের প্রতি আগ্রহ দেখেই তাকে ক্যারাটেতে ভর্তি করা হয়েছিল।এই মুহূর্তে মেয়ে ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বয়সে এই যোগ্যতা অর্জন করেছে যা খুব গর্বের।আগামী দিনে বর্ণালী আরো অনেকদূর যাবে।বর্ণালীর এই সাফল্যে খুশির হাওয়া চুঁচুড়া শহরজুড়ে।

Previous articleআর জি কর হাসপাতালের পাশে কাগজের গুদামে আ.গুন
Next articleস্মৃতি উসকে পাপারাৎজির তাড়া, প্রিন্সেস ডায়নার পরিণতিই হচ্ছিল হ্যারি-মেগানের!