Sunday, August 24, 2025

কেন এত চিতার মৃ*ত্যু, কেন্দ্রকে ভর্ৎ*সনা শীর্ষ আদালতের

Date:

Share post:

ঘটা করে নামিবিয়া (Namibia) থেকে চিতা (Cheetah) নিয়ে এসে নিজের নাম ফলাও করতে চেয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। কিন্তু কুনো জাতীয় অভয়ারণ্যে (Kuno National Park) চিতা থাকার মতো পরিবেশ রয়েছে কি? একের পর এক চিতা মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছেন। এবার মাত্র এক মাসের ব্যবধানেই পরপর তিনটি চিতার মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্রের দিকেও আঙুল তুললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোল (Justice BR Gavai and Justice Sanjay Karol)। গত বৃহস্পতিবার কোর্টের তরফে কেন্দ্রকে জানান হয় যে, বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট ও বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাগুলির থাকার জন্য় পর্যাপ্ত জায়গা নেই। সেই কারণেই কেন্দ্রকে বিদেশ থেকে আনা চিতাগুলিকে স্থানান্তরিত করার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়।

কোনও চিতা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছে, কেউ আবার খাবার না পেয়ে অনাহারে প্রায় মরতে বসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া থেকে আনা চিতাগুলির অবস্থা বেশ করুণ। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানায় প্রয়োজনে চিতাগুলিকে মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যান থেকে স্থানান্তর করে রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে কেন্দ্রকে বলা হয়, “মনে হচ্ছে, কুনোয় এত সংখ্যক চিতার বাসস্থানের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এক জায়গায় অতিরিক্ত সংখ্যক চিতা রাখা হয়েছে। আপনারা রাজস্থানে কেন চিতার বসবাসযোগ্য জায়গা খুঁজছেন না? শুধুমাত্র রাজস্থান বিরোধী দল দ্বারা শাসিত বলে আপনারা সেখানে চিতা পাঠাবেন না, এরকম হতে পারে না।” রীতিমতো কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য্য ভাটি জানান, কেন্দ্রের তরফে টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে চিতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে। অন্য জাতীয় উদ্যানেও চিতাদের স্থানান্তরিত করা যায় কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...