Saturday, August 23, 2025

এবার জগন্নাথ ধাম যাত্রা (Jagannath Dham Yarta) আরও সহজ হল। মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টায় হাওড়া থেকে সাধারণ মানুষ পুরী (Puri) পৌঁছে যাবেন। শনিবার থেকেই ওই পথে চালু হয়েছে ট্রেন। ১৬ কামরার ট্রেনে চেয়ার কার (Chair Car) এবং এগজিকিউটিভ (Executive Class) দু’টি ক্লাস রয়েছে। তবে সাড়ে ৬ ঘণ্টার যাত্রায় খাওয়াদাওয়ার এলাহি আয়োজন থাকছে। রেল সূত্রে খবর, হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়বে ২২৮৯৫ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পুরী পৌঁছবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। আবার পুরী থেকে ওই দিনই দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া পৌছবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।

বন্দে ভারতের চেয়ার কারে হাওড়া (Howrah) থেকে পুরী যেতে খরচ পড়বে ১,২৬৫ টাকা। এগজিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া ২,৪২০ টাকা। তবে যাত্রার সময়ে একের পর এক খাবার পরিবেশন করা হবে যাত্রীদের। প্রাতরাশ থেকে মধ্যাহ্নভোজ বা সন্ধ্যার মুখরোচক, সবই থাকছে মেনুতে। বন্দে ভারতের একজিকিউটিভ ক্লাসের জন্য মোট চার ধরনের মেনু রয়েছে। এই ৪ ধরনের মেনুর মধ্যে এক এক দিন এক ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে। কবে কোন ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে, তা ঠিক করবে আইআরসিটিসি। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের খাবার বাছাইয়ের কোনও সুযোগ থাকবে না। এগজিকিউটিভ ক্লাসের জন্য বরাদ্দ প্রথম ধরনের মেনুতে প্রথমেই রয়েছে চা বা কফি বা গ্রিন টি বা লেমন টি। টিব্যাগ দেওয়া হবে। সঙ্গে চিনি বা গুড় বা সুগারফ্রি, দুধ, বিস্কুট বা কুকিজ দেওয়া হবে।

এরপরেই প্রাতরাশে (Breakfast) দেওয়া হবে ওটস বা মুসলি বা কর্নফ্লেকস বা চকোস বা রাগি বাইটস। সঙ্গে গরম বা ঠান্ডা দুধ এবং চিনি বা গুড় বা মধু। সঙ্গে চারটি লুচি, ছোলার ডাল বা আলুর দম, ২টি ভেজিটেবল কাটলেট আর দই। যে যাত্রীরা আমিষ খাবেন, তাঁদের জন্য ভেজ কাটলেটের বদলে রয়েছে ডিমের অমলেট। সঙ্গে কলা বা আপেল বা কমলা লেবু দেওয়া হবে। প্রাতরাশে থাকবে একটি ডিম ছাড়া মাফিন বা ব্রাউনি বা ফ্রুট কেক বা ওয়ালনাট কেক। প্রাতরাশের সঙ্গে পরিবেশন করা হবে চা বা কফি। প্রাতরাশের কিছুক্ষণ পর হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতে একজিকিউটিভ শ্রেণির যাত্রীদের পরিবেশন করা হবে টমেটো স্যুপ। মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজে থাকবে একটি বান পাউরুটি বা ক্রোয়াশোঁ, পিস পোলাও, ২টি ত্রিকোণ পরোটা, মুগের ডাল, মটর পনির (৭০ গ্রাম) বা ডালমা, ভেন্ডি কুরকুরি। যে যাত্রীরা আমিষ খাবেন, তাঁদের পনির বা ডালমার বদলে বাঙালি ধাঁচে রান্না করা চিকেন কষা (৭০ গ্রাম) দেওয়া হবে। শেষ পাতে সাদা বা মিষ্টি দই, আইসক্রিম, ছানা পোড়া বা ক্ষীরকদম দেওয়া হবে।

 

 

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version