সারদাকর্তার চিঠির পরও কেন অন্ধ এজেন্সি? সংবাদমাধ্যমের একাংশকেও তো.প কুণালের

ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন কুণাল। তাঁর প্রশ্ন সারদাকর্তার চিঠির পরও কেন অন্ধ এজেন্সি? শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমের একাংশকেও তোপ দাগেন কুণাল।

ফের সিবিআই-ইডির (ED) (CBI) মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ নিয়ে সরব তৃণমূল (TMC)। অনেক ক্ষেত্রেই বেছে বেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে। বিজেপির (BJP) শাখা সংগঠনের মতো কাজ করছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থাগুলি। রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। যেমন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ারে জনজোয়ার (Trinamool e Nabajowar) দেখে ভীত হয়ে বিজেপি সিবিআইকে (CBI) কাজে লাগিয়েছে। জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের একটি মন্তব্য ও চিঠিকে হাতিয়ার করে কথার জাগলারিতে মামলা করে সাড়ে ৯ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে।

যদিও সে গুড়ে বালি! শিরদাঁড়া সোজা রেখে আজ থেকে ফের জনসংযোগ যাত্রায় নেমে জনসুমানি ঘটিয়েছেন অভিষেক। আগের থেকে বেশি জোশ নিয়ে আবার শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার। সিবিআই আরও উচ্চতায় এই কর্মসূচি তুলে দিয়েছে। যদিও তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য নবজোয়ারে বিঘ্ন ঘটানো। এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) গ্রেফতারের (Arrest) দাবি তোলেন কুণাল। তাঁর প্রশ্ন সারদাকর্তার চিঠির পরও কেন অন্ধ এজেন্সি? শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমের একাংশকেও তোপ দাগেন কুণাল। তাঁর কথায়, “সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন আদালতে শুভেন্দুর নামে অভিযোগ জানিয়ে সম্প্রতি ফের একটি চিঠি দিয়েছেন। যেখানে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে সুদীপ সেন পিজিনার্স পিটিশনে আইন মেনে চিঠি লিখে বিচার চেয়েছেন। বিরোধীরা বলছে, সেই চিঠি নাকি সুদীপ্ত সেনের (Sudipta Sen) নয়। আমি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছি, কাঁথি পুরসভায় (Contai Municipality) সারদাকর্তা ৫০ লক্ষ টাকা ড্রাফটে ও ২০ লক্ষ টাকা নগদে দিয়েছে। পুরসভায় সারদার টাকা আছে না নেই? সেটা তদন্ত করলেই তো বিষয়টি দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে। কেন সেটা করছে না এজেন্সি।”

মিডিয়ার একাংশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “মিডিয়ার ভূমিকা দেখে অবাক হচ্ছি। এখানে টাকা পাওয়া যাচ্ছে, ওখানে টাকা পাওয়া যাচ্ছে বলে রোজ বড় বড় ব্রেকিং হচ্ছে। কেন তারা কাঁথি পুরসভায় গিয়ে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে খবর করছে না। কেন প্রকৃত সত্য মানুষের সামনে প্রচার করছে না? নথি তো ভুল কথা বলবে না। শুভেন্দু নিয়ে কাঁথি নিয়ে গিয়েছিল সুদীপ্ত সেনকে, ওর ভাই সৌমেন্দু সেই সময় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিল। বিষয়টি কোর্টে আছে। কিন্ত সিবিআই কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ইডি এদিক ওদিক যাচ্ছে কিন্তু কাঁথি পুরসভায় যাচ্ছে না। অন্য জায়গা থেকে অবৈধ টাকা উদ্ধার করা হলেও, কেন কাঁথি পুরসভায় তারা গিয়ে তদন্ত করছে না?”

কুণালের আরও দাবি, “আদালতকে দেওয়া সুদীপ্ত সেনের চিঠির সার্টিফায়েড কপি যে কেউ নিয়ম মেনে কোর্ট থেকে তুলে দেখতে পারেন। সেখানে সারদাকর্তার স্পষ্ট অভিযোগ, শুভেন্দু ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা কীভাবে ভয় দেখিয়ে, ভুল বুঝিয়ে তার থেকে টাকা নিয়েছিল। আর ব্যাংক ড্রাফটের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে একই যুক্তিতে নগদে টাকা নেওয়ার কথাও সত্যি। আমার সঙ্গে চলুক সংবাদ মাধ্যম। ইডিকেও জানাবো বিষয়টি। আর ২২তলা বহুতল করবে বলে সুদীপ্ত সেনকে কাঁথি নিয়ে গেছিল শুভেন্দুরা। কিন্তু সেটা ওই পুরসভার এখতিয়ারে নেই। তাহলে কেন টাকা নিয়েছিল? সেই টাকা কোথায়?”

এরপরই কুণালের প্রশ্ন, “জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠির ভিত্তিতে অভিষেককে ডাকলো আর একই পদ্ধতিতে সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে কেন শুভেন্দু ও তার শাগরেদদের ডাকছে না এজেন্সি?এটা কী পক্ষপাতদুষ্ট নয়? মিডিয়ায় একাংশ কেন এটা নিয়ে খবর করে না?” এদিন শুভেন্দুকে তোপ দেগে কুণাল বলেন, “অভিষেক তাঁর নিজের অধিকার বলে আদালতে গিয়েছে। শুভেন্দু বলছে ভয়ের কথা অভিষেককে বলছে, ও একটা মেরুদণ্ডহীন কাপুরুষ নিজেকে বাঁচাতে বিজেপির জুতো পালিশ করছে। ও নিজেকে বাঁচাতে কতবার কোর্টে গিয়ে রক্ষাকবচ নিয়েছে, সেই হিসেবে আগে দিক।”

 

 

Previous articleমঙ্গলে আদালতে হাজিরা: ফের গ্রেফতারির আশঙ্কা ইমরানের
Next articleসাপ্তাহিক রিপোর্ট না পেয়ে ফের উপাচার্যদের চিঠি দিল রাজভবন