পরপর বা.জি বি*স্ফোরণের রহ*স্যজনক কারণ খতিয়ে দেখার দাবি কুণালের

বাংলার নানা জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে পদার্থবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক তথা সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্যকে সমর্থন করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।বলেন, সাংসদ অতিরিক্ত উত্তাপের কথা বলেছেন। সেটা মোটেই ফেলে দেওয়া যায় না। কারণ, কালীপুজোর দিন বাজি ফাটানোর আগেও কিন্তু আমরা সেই বাজি রোদ্দুরে দিই।কিন্তু একটা নির্দিষ্ট উত্তাপের পর সেটা সরিয়ে নিতে হয়।

সৌগতর মত, ‘‘তীব্র গরমে বিস্ফোরণ হতেই পারে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরেট, আর্সেনিক ট্রাই সালফেড বাইরে রেখে দিলে এমনিই ফেটে যাবে।’’ এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা সবাই জানি বাজি একটা শিল্প। বাজি তৈরি হয়। নিজেরা কিনি, পোড়াই। এখন বাজি কারখানা শুনলেই বিভিন্ন উক্তি শোনা যাচ্ছে। বোমার কথা আসছে, এটা কেন? আর বাজি কারখানায় তো আর বিরিয়ানির মশলা পাওয়া সম্ভব নয়।

বাজি বিস্ফোরণ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই যে পরপর বিস্ফোরণ ঘটছে এর জন্য অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল মুখপাত্র। কুণাল ঘোষ বলেন, পর পর যেভাবে ধারাবাহিকভাবে বাজি বিস্ফোরণ হচ্ছে তাকে রীতিমতো সন্দেহের চোখে দেখছে শাসক দল, সেকথাও স্পষ্ট করে দেন কুণাল।

তিনি সাফ বলেন, এর জন্য পুলিশ বা প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলে কোনও কাজ হবে না। এর পেছনে অন্য কোনও রহস্যজনক কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে।

এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই পরপর বাজি বিস্ফোরণ আর বিরোধীদের বোমা বোমা বলে চিৎকার এই দুটোর মধ্যে কি কোনও যোগসূত্র আছে? বাজি একটা শিল্প। বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান এর সঙ্গে জড়িত। বাজি বিস্ফোরণ মানেই এখানে বোমা রাখা আছে, মোটেই ঠিক নয়। আর পুলিশ প্রশাসনের উপর চাপ দেওয়ার প্রবণতা বিরাট সংখ্যক মানুষের রুচি রোজগারে চাপ সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য কুণালের।

তিনি বলেন, বাজি মানেই খারাপ আর বাজি কারখানায় তল্লাশি করে সব তুলে নিতে হবে এটা কখনও হতে পারে না। তিনি বলেন যে পুলিশ-প্রশাসন-মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু বাজি শিল্পের উপর এভাবে আঘাত করা্ উচিত নয়।