Wednesday, August 20, 2025

মণিপুরকে নতুন করে অ.শান্ত করার অভিযোগ! পুলিশের জালে বিজেপি নেতা   

Date:

Share post:

ফের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরে (Manipur Violence)। রবিবার রাত থেকেই ফের নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে ইম্ফলের (Imphal) চেকন এলাকায়। স্থানীয় বাজারের দখল নিয়ে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের জেরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এলাকায়। লুঠপাট চলছে দোকানপাট, ঘর-বাড়িতে। কিছু কিছু বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে ইম্ফলে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (Chief Minister N Biren Singh) জানিয়েছেন এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হিংসার ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক ও মণিপুর বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তেলভুম থাংজালাম হাওকিপ (Telvum Thangzalang Haokip) সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে ফের নতুন করে উত্তেজনার গ্রাসে পার্বত্য রাজ্য মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ইম্ফল পূর্ব জেলায়। যার জেরে কার্ফু শিথিলতা হ্রাস করা হয়েছে। ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সশস্ত্র রক্ষীদের টহলদারি। এদিকে নিউ চেকন বাজার এলাকায় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সরকার মতে, মণিপুর সাম্প্রতিক হিংসায় মৃত্যুর ঘটনা ইতিমধ্যেই ৭৪-এ পৌঁছেছে। সম্প্রতি মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় মেইতেই ও কুকি উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছিল। যার জেরে ব্যাপক হানাহানি গোটা মণিপুরে ছড়িয়ে পড়ে। রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক করতে হয় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে।

পরে আধাসামরিক বাহিনী এবং সেনাবাহিনী কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবুও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এরপর বেশ কিছুদিন সব চুপচাপ থাকলেও, ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই পার্বত্য রাজ্যে। নিউ চেকন বাজার এলাকায় হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক ও মণিপুর বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তেলভুম থাংজালাম হাওকিপ।

তবে মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং সাংবাদিকদের সাফ জানিয়েছেন, তিনজনকে দোকানদারদের ভয় দেখানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাওকিপ ২০১৭ সালে বিজেপির চুরাচাঁদপুর জেলার হেঙ্গলেপ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে, তিনি, অন্য দুই বিধায়কের সঙ্গে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তিনি শিবসেনায় যোগ দেন। কংগ্রেসের টিকিটে হেঙ্গলেপ আসনে ১৯৯৮ সালের উপনির্বাচনে জয়লাভ করায় তাকে বিধানসভায় ডেপুটি স্পিকার হিসাবে নির্বাচিত করা হয়।

 

 

 

spot_img

Related articles

আদালতে প্রমাণ করুন: আরজিকরের মৃত চিকিৎসকের বাবার বিরুদ্ধে মানহানি মমলা কুণালের

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জড়িয়ে রাজ্যের শাসকদল, দলের নেতাদের প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য। মেয়ের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক ছাতার নিচে এসে...

কাপুরুষের মতো বিল পেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর: সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শাহকে আক্রমণ অভিষেকের

কাপুরুষের মতো মার্শাল দিয়ে ঘিরে বিল পেশ করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। বুধবার, সংবিধান সংশোধনী বিল পেশের...

মহারাষ্ট্রে বাংলা বলতেই তাড়া! পালিয়ে বাঁচলেন বিষ্ণুপুরের জহিরউদ্দিন, ফেরাতে উদ্যোগী অভিষেক

বাংলায় কথা বললেই বিজেপির রাজ্যে ভয়ঙ্কর অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলা শ্রমিকদের। নাগপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক পরিযায়ী...

গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টায় তৃণমূলের ২ মহিলা সাংসদকে অধিবেশনে ধাক্কা রিজিজু-বিট্টুর

বিরোধীদের বাধা সত্ত্বেও লোকসভায় (Lok Shabha) পেশ সংবিধান সংশোধনী বিল। আর বিতর্কিত বিল নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সংসদে...