‘নিরুত্তর’ উপাচার্যদের শোকজ রাজ্যপালের, কড়া প্রতিক্রিয়া শিক্ষামন্ত্রীর

উত্তর আসেনি কেন? এ বার কারণ দর্শাতে বলে ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাজ্যপালের চিঠি।যা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে এই ভাবে যে বারবার উপচার্যদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে তা বাঞ্ছনীয় নয়। এটা আইনেও নেই।
প্রথম চিঠি দেওয়ার সময়েও শিক্ষামন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছিলেন,’ প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত। রাজ্যপালের উচিত এই চিঠি প্রত্যাহার করে নেওয়া।’ স্বাভাবিক ভাবে উপাচার্যদের নিরুত্তর থাকার কারণ দর্শাতে বলাকেও ভালো ভাবে নিচ্ছে না রাজ্য।
ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহখানেক আগে।উপাচার্যদের কাছে সাপ্তাহিক রিপোর্ট চেয়ে চিঠি গিয়েছিল রাজভবন থেকে। কিন্তু কোনও উত্তর না আসায় ফের চিঠি দেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই চিঠি দেওয়ার পরও সপ্তাহ ঘুরে গিয়েছে, কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। এ বার কেন উত্তর এল না তার কারণে দর্শাতে বলে উপচার্যদের চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজভবন থেকে।
মঙ্গলবার সেই শোকজের চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।রাজভবন থেকে পাঠানো চিঠিতে আগের চিঠির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনও উত্তর না পেয়ে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আরও একটি চিঠি দেওয়া হয়। তারপরেও রাজ্যপালকে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। কেন দেওয়া হল না তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে রাজভবন থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় উপাচার্যদের। তাঁদের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক খরচ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট আসেনি। এই চিঠি পাঠানোর পর থেকে রাজভবনের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতের শুরু হয় রাজ্য সরকারের।উল্লেখ্য, রাজ্যপালকে সরিয়ে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনতে চায় রাজ্য। ইতিমধ্যেই সেই বিল পাশ হয়েছে বিধানসভায়। তবে রাজ্যপাল এখনও শিলমোহর দেননি তাতে।

Previous articleপাহাড়ি পথে বেপ.রোয়া গতি, কাশ্মীরে দুর্ঘ.টনায় ৭জনের মৃ.ত্যু
Next articleরূপান্ত.রকামীদের লড়াইয়ে পাশে থাকতেই সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে চান উচ্চমাধ্যমিকে সপ্তম ‘শরণ্যা’