দুঃস্থের সহায়: ইরাদেবীর বাড়িতে গেল অভিষেকের ‘দূত’, মিলল সাহায্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে নজরে রেখে জনসংযোগ কর্মসূচিতে বেরিয়েছেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর থেকে দক্ষিণ যেখানেই যাচ্ছেন কার্যত জনস্রোতে ভাসছেন তিনি। মিশে যাচ্ছেন মানুষের সঙ্গে, শুনছেন তাদের অভাব অভিযোগের কথা। মিলছে চট জলদি সমাধানও। তেমনি জলপাইগুড়িতে জনসংযোগ কর্মসূচি চলাকালীন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) কাছে লক্ষীর ভান্ডার(Lakshmi Bhandar) পান না বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ময়নাগুড়ি বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সী ইরা পাল। তার অভিযোগ শুনে বিষয়টি দেখার আর শাস্তি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। অবশেষে ইরা দেবীর বাড়িতে পৌঁছাল অভিষেকের দূত। একই সঙ্গে মিলল আর্থিক সাহায্য।

তৃণমূল সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লক্ষীর ভান্ডার না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন ইরা পাল নামে বছর ৬৫-র এক মহিলা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনব এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত তিনি। যদিও ৬৫ বছর বয়সে রাজ্য সরকারের আরও একটি জনপ্রিয় প্রকল্প বার্ধক্য ভাতার সুবিধা নেওয়ার জন্য জানানো হয় তাঁকে। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ইরা দেবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আর্থিক সাহায্য।

এদিন এক ভিডিও বার্তায় ইরা দেবীর সন্তান পার্থ পাল জানান, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁর প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং আমার মাকে আর্থিক সাহায্য দেন। এর জন্য ওনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “যেহেতু আমার মা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়ার যোগ্য নয় সেহেতু অভিষেক বাবুর নির্দেশমতো আমরা আগামীকালই সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।”

Previous articleঝড়ের মুখে আমজনতাকে নিরাপদে সরালেন অভিষেক, মঞ্চ থেকে ডাক দিলেন মোদি-হঠানোর
Next articleভিনিসিয়াসের পাশে গোটা রিয়াল, ভিনিকে দিল বিশেষ সম্মান