তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে এখন পুরুলিয়ায় তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানেই মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তুলোধনা করেন তিনি। তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “অনেক হয়েছে নোটবন্দি, ভোটবন্দি। এবার যদি লাইনে দাঁড়ান, প্রধানমন্ত্রী বদলানোর জন্য় দাঁড়াতে হবে”। তাঁর বক্তব্যের মধ্যেই ঝড় ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে বক্তব্য থামিয়ে আমজনতাকে নিরাপদে সরানোর ব্যবস্থা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মঞ্চের সামনে থাকা নিরাপত্তার D-Zone-এও বসানো হয় বেশ কিছু মানুষকে। অভিষেকের কথায়, “আমার নিরাপত্তা পরে, আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে।”
এবার ‘বাতিল’ হতে চলেছে ২০০০ টাকা নোট! এই বিষয়ে নিয়ে পুরুলিয়ার (Purulia) মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায় “২০১৬ সালে তুঘলকি সিদ্ধান্ত! হঠাৎ করে ৫০০ টাকার নোট বাতিল, ১০০ হাজার নোট বাতিল। লাইনে দাঁড়িয়ে ১৪০ জন মারা গিয়েছে গরমে। ৭ আগে ঘোষণা করেছে, আবার ২০০০ টাকার নোট বাতিল। মানুষ দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যুবরণ করবেন। আর তুমি গিয়ে অস্ট্রেলিয়া, লন্ডন, আমেরিকায় গিয়ে ফূর্তি করবে“।
বাংলার বঞ্চনা নিয়েও ফের আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, “আজকে ১০০ দিনের টাকা বন্ধ। আবাসের টাকা বন্ধ। রাস্তার টাকা বন্ধ। সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা বন্ধ। বিজেপি বাংলায় হেরেছে। নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হলেই, আমরা দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করব। দরকার হলে দিল্লির বুকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে আমি বসব।“
এর মধ্যেই আকাশ কালো করে ঝড় ওঠে। বারবার বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঝড়ের হাত থেকে সকলকে নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য বক্তব্য থামিয়ে প্রথমে সবাইকে প্যান্ডেলের ভিতরে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। এই সময় মঞ্চের সামনে থাকা নিরাপত্তা বলয়েও অনেককে বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। অভিষেক বলেন, “আমার নিরাপত্তা পরে, আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে।” বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, “অন্য দলের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়। আর আমরা আগে মানুষের কথা ভাবি।” অভিষেকের এই সহৃদয় ব্যবহারে আপ্তুল পুরুলিয়ার মানুষ।