ডা.কাতি কেসে ব্যারাকপুর নয়, আসল টা.র্গেট ছিল হাওড়া!

শুক্রবার সকালে দোকানের মালিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী যীশু কৃষ্ণ আড়ির কাছে সন্দেহভাজনদের নিয়ে উপস্থিত হন হাওড়া সিটি পুলিস ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিশাল বাহিনী সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির (Robbery at gold shop in Barrackpore) ঘটনায় উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনা সঙ্গে যুক্ত ডাকাতদের প্রথম টার্গেট ব্যারাকপুর ছিলই না। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই এই তথ্য উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে প্রাইম টার্গেট ছিল হাওড়া কদমতলার এক সোনার দোকান (A gold shop in Howrah Kadmatla)। শুক্রবার সকালে দোকানের মালিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী যীশু কৃষ্ণ আড়ির কাছে সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীদের নিয়ে উপস্থিত হন হাওড়া সিটি পুলিস ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের (Howrah City Police and Barrackpore Commissionerate) বিশাল বাহিনী সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তখনই সবটা জানতে পারেন দোকান মালিক আর এরপর থেকেই রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন তিনি।

ঘটনা ১৮ মে ২০২৩- এর। দোকানের মালিক বলছেন ডাকাতরা তাঁর দোকানে একটি রূপোর চেন কিনতে এসে দেখে যায় দোকানটি। এরপরে গোটা এলাকার সমস্ত রাস্তাঘাট ঘুরে দেখে রেইকি করেন তাঁরা। সবথেকে সস্তার চেন কেনেন ওই ডাকাতরা। এরপর ২৪ মে গোটা পরিকল্পনামতো সেই দোকানে লুঠ করার জন্য হাজির হন তাঁরা। কিন্তু দোকানে ভিড় থাকায় অপরাধ করার সাহস পাননি বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরই ব্যারাকপুরে অপারেশন চলে। হাওড়ার কদমতলার ওই দোকানে পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পরই বুধবার সন্ধে নাগাদ ব্যারাকপুরের ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে একটি সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে ঢুকে দোকান মালিকের সঙ্গে বচসা করে চার পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দোকান মালিকের ছেলের।

 

 

Previous articleকনভয়ে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কমিটির, ষড়যন্ত্র তত্ত্বে দায় আস্বীকার
Next articleমুম্বইকে হারিয়ে ফাইনালের পরিকল্পনা শুরু হার্দিকের