‘রক্তকরবী’ নাটকের একশো বছরে মন ছুঁয়ে গেল ‘শিশিক্ষু’র প্রযোজনা

যুগে যুগে এ নাটক প্রাসঙ্গিকতা বহন করে চলেছে যেন পরম্পরার মত।

চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়

‘রক্তকরবী’ নাটকের একশো বছরের জার্নির সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত হয়ে উঠল শিশিক্ষুর প্রযোজনা। নন্দিনীর সঙ্গে অধ্যাপকও যক্ষপুরীর অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথযাত্রী হয়ে উঠতে চায়…. আজকের সময় দাঁড়িয়ে তার প্রাসঙ্গিকতা ফের একবার সামনে এল শুক্রবার ২৬ মে সন্ধ্যায় সল্টলেক EZCC তে।

পরিচালক গৌতম হালদার রক্তকরবীর একশো বছরকে স্মরণীয় করার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি।
মেকআপ করছেন বিধাত্রি। মেকআপ, লাইট, মিউজিক নিখুঁত । অভিনয় অসাধারণ।গৌতম হালদারের নির্দেশনায় রক্তকরবীর মূল চরিত্র নন্দিনী অর্থাৎ বিশিষ্ট অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল অনবদ্য। অধ্যাপক চরিত্রে অশোক মজুমদার নন্দিনীর সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে অত্যন্ত সাবলীল অভিনয় করলেন।
পরিচালক গৌতম হালদার বলেন,রক্তকরবী আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের যেখানেই রাষ্ট্রনিষ্পেষণ, যন্ত্রের অমানবিক পীড়ন, সামাজিক শোষণ মানুষকে নিংড়ে নিচ্ছে সেখানেই এর থেকে মানুষ মুক্তির পথ খোঁজে….এই নাটক অব্যর্থ হয়ে ওঠে সেইখানেই। যুগে যুগে এ নাটক প্রাসঙ্গিকতা বহন করে চলেছে যেন পরম্পরার মত।রক্তকরবী নাটকের প্রেক্ষাপট যক্ষপুরী ৷ সেখানে তাল তাল সোনা তুলে দিন কাটে সাধারণ মানুষের ৷ রাজা থাকেন জালের আড়ালে ৷ সামনে থাকেন সর্দার, মোড়ল, গোঁসাই এবং অধ্যাপকরা ৷ নন্দিনী সেখানে নিয়ে আসে খোলা হাওয়ার ডাক ৷
অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল বলেন, আমাকে যারা নন্দিনী করে তুলেছে তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ ।বারে বারে কবিগুরুর নন্দিনীর ফিরে আসা উচিত।আসলে এই নাটকটি একটি সংঘাতের নাটক ৷ রাজার সঙ্গে নন্দিনীর সংঘাত, যান্ত্রিকতার সঙ্গে মানবতার সংঘাত, বন্ধনের সঙ্গে মুক্তির সংঘাত ৷ রাজার নাগপাশে বন্দি একদল লোক। এরা প্রত্যেকেই প্রচলিত সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা-গোত্র আর স্তরে বিভক্ত। সবমিলিয়ে এদিনের প্রযোজনা উপস্থিত দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়।