ভোটের রাজনীতি করতেই দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করেছিলেন মোদি। সেটাই গর্বের হত, যদি সংসদ ভবনের গায়ে উদ্বোধক হিসেবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নাম খোদিত থাকত। তা না করে আদিবাসী সমাজ এবং দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা হল। আমার প্রশ্ন, রাষ্ট্রপতি একজন আদিবাসী মহিলা বলেই কি তিনি উদ্বোধক হতে পারলেন না? তাঁকে নিয়ে কি শুধু ভোট-রাজনীতি করলেন মোদি? এটা অন্যায়। এটা পাপ। এভাবেই বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত কোর কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকের বললেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বললেন, মুখ্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, তাঁর প্রয়াসের জন্য । ধন্যবাদ জানাই বিরোধী দলগুলোকে। ভারতবর্ষ বাঁচবে ধর্মনিরপেক্ষতার পথে। বিজেপি ধর্মান্ধতার পথে ভারতকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। তাই সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের আওয়াজ, বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেল। দেশকে বাঁচাও।
এদিনের বৈঠকে ছিলেন উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোেপাধ্যােয়, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সাংসদ শতাব্দী রায় প্রমুখ। বৈঠক শেষে ফিরহাদ জানান, এখন সিউড়ি বা কোনও পুরসভা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। অঞ্চল সভাপতিরা ব্লক সভাপতিকে নিয়ে বসবে। ৩০ তারিখ ব্লকের মিটিং হবে। সেখানে সাংসদ ও বিধায়করা বসবেন।
আরও পড়ুন- সংসদ ভবনের উদ্বোধন নয় এটা প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যাভিষেক! মোদিকে একযোগে আ.ক্রমণ রাহুল-কুণালের