সিলেবাস (Syllabus) থেকে যেকোনও সময় ছিটকে যেতে পারেন। কিন্তু তাঁর লেখা গান? সেটাও কি সত্যি দেশবাসীর মন থেকে একেবারে মুছে দেওয়া সম্ভব? হয়তো না। আর সেকারণেই এবার নতুন সংসদ ভবন। উদ্বোধনের দিনই নয়া সংসদ ভবনে বেজে উঠল ‘পাকিস্তানের জাতীয় কবি’ ইকবালের (Iqbal) ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্থান হামারা।’ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Delhi University) ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানের গীতিকার পাকিস্তানের (Pakistan) ‘জাতীয় কবি’ মহম্মদ ইকবালকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাব পাস হতে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চূড়ান্ত সম্মতি বাকি। আর তাঁরা সম্মতি দিলেই পাঠ্যসূচি থেকে বাদ চলে যাবেন ইকবাল। আর এমন টানাপোড়েনের মাঝে নয়া সংসদ ভবনে বাজল তাঁর লেখা গান। আর রবিবার এমন ঘটনার পরই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। যে মানুষটাকে সিলেবাস থেকেই সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছে মোদি সরকার। আর তাঁর লেখা গানই বাজানো হচ্ছে সংসদ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
তিনি নাকি দেশভাগের নেপথ্য কারিগর। পাকিস্তান ভাবনার স্রষ্টা ছিলেন তিনি। এমন অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর তারপরই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানের গীতিকার পাকিস্তানের ‘জাতীয় কবি’ মহম্মদ ইকবালকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এমতবস্থায় নয়া সংসদ ভবনে বাজল তাঁর লেখা গানই।
উল্লেখ্য, ২৮ মে রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সকালে পুজোপাঠের মাধ্যমে শুরু হয় সংসদ উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান। যজ্ঞ এবং পুজোর পর সর্বধর্ম প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এদিন একটি শর্ট ফিল্ম দেখানো হয় সংসদ ভবন তৈরির উপর, আরেকটি ছিল সেঙ্গল সংক্রান্ত। নয়া সংসদ ভবনের শর্ট ফিল্মটিতেই ব্যবহার করা হয়েছে ‘সারে জাঁহা আচ্ছা, হিন্দুস্থান হামারা’ গানটি।