আর্থিক বৈষম্য, দুর্নীতি, জাতীয় নিরাপত্তা থেকে বিভাজনের রাজনীতি—সব ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এইসকল ব্যর্থতাকে ঢাকতে তড়িঘড়ি নয়া সংসদ ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে নতুন এই সংসদ ভবন উদ্বোধন করতে চলেছেন মোদি।
আরও পড়ুন:নতুন সংসদে ভবনের দেওয়ালে দক্ষিণেশ্বরের কালি মন্দির থেকে কোণার্কের চাকা!
বিশেষ পুজোর মধ্য দিয়েই সংসদ ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন পর্ব শুরু। তারপর বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংসদ ভবনের ভিতরে সেঙ্গোল স্থাপনা করে প্রার্থনাসভারও আয়োজন করা হয়েছে। আর এই সমস্ত কিছু হবে একেবারে ঘড়ি ধরে নির্দিষ্ট তিথি, সময় মেনে। তাই সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে তোড়জোড়। ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তার মুড়ল ফেলা হয়েছে সংসদ চত্বর। রইল সমগ্র অনুষ্ঠানের সূচি একনজরে-
দুই দফায় বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সংসদ ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন হবে। প্রথম দফার অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিশেষ পুজোর মাধ্যমে দ্বারোদ্ঘাটন করা হবে গণতন্ত্রের এই পীঠস্থানের। পুরোনো সংসদ ভবনের আদলে এই সংসদ চত্বরেও বসানো হয়েছে গান্ধীমূর্তি। সেই গান্ধী মূর্তির সামনেই মণ্ডপ করে বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
সাল ৮:৩০টা -৯টার মধ্যে লোকসভা কক্ষের ভিতরে প্রতিস্থাপনা করা হবে সেঙ্গোল। অধ্যক্ষের আসনের পাশে স্থাপন করা হবে এই রাজদণ্ড। দেশের স্বাধীনতার সময়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল এই সেঙ্গোল। তামিল রীতি মেনেই প্রতিস্থাপনা হবে এই সেঙ্গোলের। এটি প্রতিস্থাপনার জন্য ইতিমধ্যে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন মঠ থেকে দিল্লিতে এসেছেন প্রায় ৩০ জন সাধু।
সকাল ৯টা-৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত লোকসভাতেই হবে প্রার্থনা সভা। ওই প্রার্থনা সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার স্পিকার, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান, মন্ত্রিসভার সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট পণ্ডিত ও সন্ন্যাসীরা। আদি শিব ও আদি শঙ্করার পুজো হবে।
দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমেই শুরু হবে এই পর্বের অনুষ্ঠান। তারপর নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দুটি শর্ট ফিল্ম দেখানো হবে। সংসদ ভবনের ভিতরেই ফিল্ম দুটি দেখানো হবে।
শর্ট ফিল্ম প্রদর্শনের পর নতুন সংসদ ভবন নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতির বার্তা পাঠ করে শোনাবেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। লোকসভার স্পিকারও বিবৃতি দেবেন। এরপর মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও তাঁদের বক্তব্য রাখতে পারেন। সকলের বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৭৫ টাকার কয়েন ও স্ট্যাম্প প্রকাশ করবেন এবং বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়েই দুপুর দুটো-আড়াইটে নাগাদ সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।