আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের পাশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার মিছিল করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার হাজরা থেকে রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উদ্যোগে বাংলার ক্রীড়াবিদরা একজোট হয়ে এই মিছিলে অংশ নেবেন বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

দিল্লি পুলিশের হে.নস্থার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হরিদ্বারের গঙ্গায় সব পদক বিসর্জন দেবেন বলে জানিয়েছেন সাক্ষীরা। সেই নিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” সুপ্রিম কোর্টের আদেশ স্বত্বেও কুস্তিগিরদের উপর নিগ্রহ, চরম অত্যাচার করা হয়েছে। কুস্তিগিরদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে বলেছি, বাংলার ক্রীড়াবিদদের নিয়ে বুধবার মিছিলের আয়োজন করা হোক। হাজরা মোড় থেকে রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত যাবে এই মিছিল।”
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,”নিজেরা পরিশ্রম করে পদক জিতেছেন কুস্তিগিররা। সেই পদক নিয়ে কী করবেন সেটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। তবে আবেদন জানিয়েছি যেন পদক বিসর্জন না দেন। যেভাবে রাস্তায় ফেলে তাঁদের মারধর করা হয়েছে, হেনস্তা করা হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমরা সবসময়ে কুস্তিগিরদের পাশে আছি, শেষ পর্যন্ত থাকব তাঁদের পাশে।”

উল্লেখ, গঙ্গায় সমস্ত পদক বিসর্জন দিতে চলেছেন সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়ারা। এদিন এমনটাই জানালেন সাক্ষীরা। প্রতিবাদ হিসাবে হরিদ্বারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিলেন তারা।


সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের উপর যৌ.ন হেনস্থার অভিযোগে প্রতিবাদে নেমেছিলেন বিনেশ-সাক্ষী-বজরংরা। সেই কারণে নব পার্লামেন্ট ভবনের উদ্বোধনের দিন যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত ছিলেন, সেখানে মিছিল করে যাওয়ার প্রয়াস করেছিলেন তারা। কিন্তু মাঝপথেই পুলিশ তাদের আটকায় এবং গ্রেফতারও করে। দেশের হয়ে পদক আনা কুস্তিগিরদের হেনস্থা করেন তারা। নতুন সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির জেরে এফআইআর দায়ের হয়েছিল দেশের সেরা কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে। আর এই হে.নস্তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হরিদ্বারে নিজেদের সমস্ত পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

আরও পড়ুন:ফাইনালে নেই কোন উইকেট, বেগুনি টুপি পেয়েও অভিমানী শামি
