ডিএলএড-এ ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ! হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন পর্ষদের

তবে জনস্বার্থ মামলার আইনজীবী এদিন জানান, ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের ভর্তির বিজ্ঞাপন। কিন্তু, আগের দুটো বছরের ক্লাস হল না, কিছুই হল না। প্রত্যেকবার ভর্তির সময় তিন হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডিএলএড-এর (D El ED) ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) গ্রীষ্ম অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী ৯ জুন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে বলে সাফ জানিয়েছে হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ডিএলএডে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অনলাইনে (Online)। কিন্ত যারা অফলাইনে (Offline) ভর্তি হয়েছিলেন তাঁদের রেজিস্ট্রেশন আটকে যায় অর্থাৎ তাঁদের নন-রেজিস্ট্রার্ড হিসেবে ধরা হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দেয়, ডিএলএডের এই ৬০০টি কলেজ তাঁদের উপস্থিতির খাতা নিয়ে খতিয়ে দেখবে উপস্থিতির হার কত। পর্ষদ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বৈঠক করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে জনস্বার্থ মামলার আইনজীবী এদিন জানান, ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের ভর্তির বিজ্ঞাপন। কিন্তু, আগের দুটো বছরের ক্লাস হল না, কিছুই হল না। প্রত্যেকবার ভর্তির সময় তিন হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৩১ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে ফর্ম ভর্তি সহ জমা যাবতীয় প্রক্রিয়া সারতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আগেই এই নিয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল। তাই তড়িঘড়ি ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভর্তি শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে, এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশ দেন, বিভিন্ন জায়গায় ডিএলএড শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরি হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্তারিত নথি ছবি সহ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের নাম সরকারি বিভাগে নথিভুক্ত করা হয়নি তাদের অবিলম্বে নথিভুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে নিয়োগের সময় তাঁরা যাতে নথিভুক্ত ছাত্র ছাত্রী হিসেবে বিবেচিত হন। তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে উল্লেখ করে গত ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর পর্ষদের সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench)।