উপাচার্য নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি! রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে টুইটে ক্ষো.ভ প্রকাশ শিক্ষামন্ত্রীর

এর আগেও উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্রাত্য বসু। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার বিষয়ে বিল ইতিমধ্যেই বিধানসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ঠান্ডা লড়াই চলছে রাজ্যের। এরই মধ্যে যাদবপুর, কল্যাণী, বর্ধমান-সহ রাজ্যের ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। আর এই বিষয় নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁর মতে, এই নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি।

রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখেই নতুন উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “সংবাদ মাধ্যম থেকে জানতে পারলাম সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মাননীয় রাজ্যপাল আজ আবার ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এই নিযুক্তি দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা ব্যতিরেক করা হলো, যা বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং বেআইনি। এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে আমরা বিভাগীয়ভাবে আইনি পরামর্শ নিচ্ছি ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করা হবে সে বিষয়ে। বেআইনিভাবে নবনিযুক্ত মাননীয় উপাচার্যদের সকলকে উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে সসম্মান অনুরোধ থাকবে যে, তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।“

এর আগেও উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্রাত্য বসু। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার বিষয়ে বিল ইতিমধ্যেই বিধানসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। সুতরাং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাজভবনের নেই। ফের এই বিষয়ে নিয়ে তোপ দাগলেন শিক্ষামন্ত্রী।