সারদাকর্তার চিঠি ইস্যুতে সিবিআইয়ের টেবিলে শুভেন্দুর মুখোমুখি বসতে চান কুণাল

শুভেন্দুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কুণাল। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তৃণমূল নেতা প্রকাশ্যে বলেন, "সিবিআই শুভেন্দু আর আমাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করুক।"

একটা সময় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), ভাই সৌমেন্দু (Soumendu Adhikari) এবং তাঁদের সাঙ্গপাঙ্গরা সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের (Sudipto Sen) থেকে কাঁথি পুরসভায় (Contai Municipality) কখনও ব্যাঙ্ক ড্রাফটে আবার কখনও নগদে টাকা নিয়েছেন। ভুল বুঝিয়ে, ব্ল্যাকমেল করে, ভয় দেখিয়ে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল। কলকাতার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে পিজিনার্স পিটিশনে একাধিকবার এমনটাই জানিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। শেষ চিঠি তিনি দিয়েছিলেন গত ১১মে। সেই চিঠির সার্টিফায়েড কপি দেখিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বার বার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছেন। কিন্তু কাজ না হওয়ায় বুধবার সিএমএম-এর কাছে পিটিশন করেছিলেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। কুণাল ঘোষ নিজেও হাজির ছিলেন আদালতে। বাইরে বেরিয়ে তাঁরা জানান, সিএমএম সুদীপ্ত সেনের চিঠি সিবিআইয়ের কাছে পাঠানোর নির্দেশ হয়েছে। তাঁরা আশাবাদী এবার শুভেন্দুকে ডাকবে সিবিআই। তবে আদালতের নির্দেশর পরও যদি সিবিআই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে, সেক্ষেত্রে অন্য পথে হাঁটবেন তাঁরা।

এদিকে আগেই এই চিঠি সারদাকর্তাকে দিয়ে লেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তবে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তাকে স্বাগতও জানিয়েছেন শুভেন্দু। সঙ্গে বলেছেন, ‘‘আমার কাজটার সুবিধা হয়ে গেল। এই চিঠিটা কাকে দিয়ে লিখিয়েছেন সেটা প্রমাণিত হয়ে যাবে। আমি চেয়েছিলাম তো। চিঠিটা কে লিখিয়েছিল বেরিয়ে যাবে। মজাটা বুঝিয়ে দেব আমি।’’ কুণালের নাম না নিয়ে শুভেন্দু সংবাদ মাধ্যমকে আরও বলেন, “খুব সুন্দর। আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এই চিঠিটা লিখিয়েছে সাড়ে ৩ বছর জেল খাটা, নর্দমার কীট বলি যাঁকে। কবে লিখিয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে আমি জানি। আমি তো আগেই সিবিআইকে চিঠি দিয়ে বলেছিলাম, এটা উদ্দেশ্যমূলক অভিসন্ধি।’’

এদিন শুভেন্দুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কুণাল। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তৃণমূল নেতা প্রকাশ্যে বলেন, “সিবিআই শুভেন্দু আর আমাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করুক। আড়াল থেকে নাম না করে ইঙ্গিত করছে। চিঠি সুদীপ্ত সেন লিখেছে। আমরা কোর্ট থেকে পেয়েছি। কিন্তু আসল কথা কাঁথি পুরসভায় ব্যাংক ড্রাফট আছে কি নেই। যদি থাকে তাহলে সারদাকর্তার চিঠি ঠিক। কে লিখেছে নয়, চিঠিতে কী লিখেছে সেটা নিয়ে তদন্ত হবে। আজ না হোক কাল ওর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হবে। কতদিন বিজেপি ওকে বাঁচাবে। আইনের জাল যে ওর দিকে হাত বাড়াচ্ছে, সেটা ওর চোখমুখ দেখেই স্পষ্ট। সিএমএম সুদীপ্ত সেনের চিঠি সিবিআইকে পাঠিয়েছে। কয়েকটি দিন অপেক্ষা করবো। যদি পদক্ষেপ না হয়, তাহলে সিবিআইয়ের কাছে যাবো।” জেলখাটা প্রসঙ্গেও
শুভেন্দুকে তোপ দেগেছেন কুণাল। তাঁর কথায়, “ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে চোরটা বিজেপিতে গিয়ে নেতাদের জুতো পালিশ করছে। ও যার পায়ে হাত দিয়ে বিজেপিতে ঢুকেছে, সে তো খুনের আসামি। খুনের অভিযোগে জেল খেটেছে।”

 

 

 

Previous articleমোদির ৯ বছরকে পিছনে ফেলে টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে ১ নম্বরে অভিষেকের ‘#NandigrameJonoJowar’
Next article“হ্যালো মিস্টার মোদি…”, আমেরিকায় দাঁড়িয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা রাহুলের