মহিলার সঙ্গে মাত্র দেড়মাসের পরিচয়, বাবার বিয়ে নিয়ে সামাজিক বিড়.ম্বনায় লক্ষ্মণ পুত্ররা

নিজের দ্বিতীয় বিয়েটি সেরে ফেলেছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা অধুনা কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁর এই বিয়ে নিয়ে এখন জোরচর্চা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিভিন্ন মহলে

বাম জমানায় একটা সময় একডাকে যাঁদের হলদিয়ার মানুষ “দাদা-বৌদি” হিসেবে ডাকতেন বা চিনতেন, তাঁরা হলেন লক্ষ্মণ শেঠ (Laxman Seth) এবং তাঁর স্ত্রী তমালিকা পণ্ডা শেঠ। শুধু হলদিয়া নয়, বাম জমানায় লক্ষ্মণ শেঠ ছিলেন গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেতাজ বাদশা। একসময়কার এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা ও তাঁর স্ত্রী তমালিকার নির্দেশ ছাড়া জেলার কোনও গাছের পাতা নড়তো না, কোনও পাখি ডানা মেলতো না। তারপর হলদি নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। সিপিএম এখন অতীত। সিংহাসন হারিয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ। নন্দীগ্রাম কাণ্ডের দায় চাপিয়ে দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে। তবে রাজনীতির ময়দানে ভেসে থাকতে নতুন দল গড়েন লক্ষ্মণ। হালে পানি না পেয়ে বিজেপি ঘুরে এখন খাতায়-কলমে কংগ্রেসে তিনি। এরই মাঝে ২০১৬ সাল আকস্মিক প্রয়ান ঘটে তমালিকার।

এহেন লক্ষ্মণ শেঠ আচমকাই ফের সংবাদ শিরোনামে। তবে রাজনৈতিক কারণে নয়, তমালিকার মৃত্যুর à§­ বছর পর নতুন জীবনসঙ্গিনী খুঁজে নেওয়ার জন্য। যখন লক্ষ্মণ শেঠের বয়স “মাত্র” à§­à§­ বছর। দ্বিতীয় স্ত্রী মানসী দে’র বয়স ৪২। তবে বেশি বয়সে বিয়ে বা বয়সের অনেকটা ফারাকে লাইভ পার্টনার বেছে নিয়ে ঘর বাঁধার নজির নতুন কিছু নয়। তাই লক্ষ্মণ শেঠকেও খুব একটা ব্যতিক্রমী বলা যাবে না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের দ্বিতীয় বিয়েটি সেরে ফেলেছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা অধুনা কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁর এই বিয়ে নিয়ে এখন জোরচর্চা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিভিন্ন মহলে।

যদিও বাবার বিয়ে নিয়ে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটালেন লক্ষ্মণ শেঠের বড় ছেলে সায়ন্তন। লক্ষ্মণবাবুর এমন সিদ্ধান্তকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁর ছেলেরা। বড় ছেলে সায়ন্তন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “দেড় মাসের আলাপে বাবা যে এইভাবে মালাবদল করে নেবে, সইসাবুদ করে এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে—এ তো আমরা ভাবতেও পারিনি”।লক্ষ্মণবাবুর এই নতুন সম্পর্কের ব্যাপারে পরিবার কি কিছুই জানতো না? এ প্রসঙ্গে তাঁর ছোট ছেলে বলেন, “বাবা আমাদের জানিয়েছিলেন, মাস দেড়েক আগে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছে। একদিন তাঁকে আমাদের সঙ্গে আলাপ করাতে হলদিয়ার বাড়িতেও নিয়ে এসেছিলেন।শুনেছি উনি একটি হোটেলে বড় পদে চাকরি করতেন। কিন্তু তা যে এই জায়গায় পৌঁছবে আমরা ভাবতেও করতে পারিন। বাবা তো আমাদের সঙ্গেই থাকেন। আমরা হলদিয়ায় একই বাড়িতে থাকি। এটা আমাদের পরিবারের কাছে ধাক্কার।”

বিষয়টি নিয়ে শেঠ পরিবারের ঘনিষ্ঠবৃত্তে থাকা অনেকেই আড়ালে আবডালে বলছেন, বাবার কাণ্ডে দুই ছেলে সামাজিকভাবে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। আত্মীয়স্বজন থেকে বন্ধুবান্ধবরা ফোন করে জিজ্ঞেস করছেন। এই বয়সে ছেলেকে যদি বাবার বিয়ে নিয়ে উত্তর দিতে এর চেয়ে বড় বিড়ম্বনা আর কী বা হতে পারে!