৭৭-এ দ্বিতীয় ইনিংস? মুচকি হেসে লক্ষ্মণের জবাব “এক ইনিংসে তো খেলা শেষ হয় না!”

৭৭ বছর বয়সী লক্ষ্মণবাবুর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম মানসী দে। কলকাতার বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের মানসী শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলের শীর্ষ পদে রয়েছেন।

সুখবরটা আগেই দিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ (Laxman Seth) ৷ প্রথম স্ত্রী তমালিকাদেবীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ে করেছেন তিনি৷ সামনে এসেছে নবদম্পতির ছবিও৷ ৭৭ বছর বয়সী লক্ষ্মণবাবুর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম মানসী দে৷ কলকাতার বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের মানসী শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলের শীর্ষ পদে রয়েছেন৷ কলকাতার এক পরিচিতের মাধ্যমেই মানসীর সঙ্গে আলাপ হয় লক্ষণের৷ এর পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত৷ নিজের এলাকায় পরে বৌভাতের অনুষ্ঠান করবেন বলে জানিয়েছেন একসময়কার হলদিয়ার (Haldia) বেতাজ বাদশা তমলুকের তিনবারের সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ।

আজ, শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে (Press Club) রাজনৈতিক কিছু বিষয় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা অধুনা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি লক্ষ্মণ শেঠ। সেখানে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও প্রশ্নের উত্তর দেন লক্ষ্মণবাবু। কেন এই বয়সে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস? উত্তরে লক্ষ্মণ শেঠমজার ছলে জানান, “এক ইনিংসে তো আর খেলা শেষ হয় না।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “রাজনীতি আর পারিবারিক জীবন এক নয়। আমার বয়স হয়েছে। তাই এই সময়ে কেউ একজন নিজের মানুষ পাশে থাকলে অনেকটাই মনের জোর পাওয়া যায়। তাই এমন সিদ্ধান্ত।”

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে তমালিকা পণ্ডা শেঠের (Tamalika Ponda Seth) সঙ্গে বিয়ে হয় লক্ষ্মণের। ১৯৯৭ সালে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন তমালিকা। ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মহিষাদলের বিধায়কও ছিলেন তিনি। রাজনীতিতে লক্ষ্মণের ‘যোগ্য সহধর্মিণী’ ছিলেন। এক সময় হলদিয়ায় বিশাল গণবিবাহের আয়োজন করতেন লক্ষ্মণ। পাশে থাকতেন তমালিকা। লক্ষ্মণকে সিপিএম বহিষ্কারের পর দল ছাড়েন তমালিকাও। ২০১৫ সালে স্বামীর তৈরি ‘ভারত নির্মাণ দল’-এ যোগ দেন তিনি। ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় তমালিকার। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। লক্ষ্মণ এবং তমালিকার দুই ছেলেও রয়েছে।

 

 

Previous articleপ্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন দেবযানী! কারণ বেদনা.দায়ক
Next articleপ্রকাশ‍্যে ব্রিজভূষণের নামে একাধিক অভিযোগ, ১০ অভিযোগ আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের