করমণ্ডল দু.র্ঘটনায় রেলের ভ.য়ঙ্কর গাফিলতি, ভাইরাল চা.ঞ্চল্যকর অডিও রেকর্ড

যখন দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, ঠিক তখনই সঠিক তদন্তের দাবি তোলে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিও ক্লিপ পোস্ট করেন

বালাসোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা ততই লাফিয়ে বাড়ছে। একইভাবে সময় যত এগিয়ে চলেছে দুর্ঘটনার কারণকে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থায় অ্যান্টি কলিসন ডিভিইস নিয়েও।

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বালেশ্বরে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সিগন্যাল গ্রিন ছিল। কিন্তু দেখা লাইনের পয়েন্ট সেট করা ছিল পাশের লাইনের দিকে। অর্থাৎ সিগন্যাল ছিল সোজ আর পয়েন্ট সেট ছিল পাশের লাইনের দিকে। গ্রিন সিগন্যাল দেখে করমণ্ডলের চালক তাঁর গতিতে সোজাই যাচ্ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত লাইনের পয়েন্ট পাশের দিকে করা থাকায় বাঁদিকের মালগাড়ির লাইনে ঢুকে পড়ে। প্রবল গতিবেগে করমণ্ডল এক্সপ্রেস সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িতে।

যখন দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, ঠিক তখনই সঠিক তদন্তের দাবি তোলে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিও ক্লিপ পোস্ট করেন। যেখানে দুই রেল আধিকারিকের মধ্যে কথোপকথনের কল রেকর্ড শোনা যাচ্ছে। এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সিগন্যালের দায়িত্বে থাকা আরেক আধিকারিককে ফোনে কারণ জানতে চাইছে। সিগনাল ছিল মেনলাইনের, পয়েন্ট ছিল লুপলাইনে। যা শুনলে রীতিমতো আঁতকে উঠতে হয়। যদিও এই ফোন রেকর্ডের সত্যতা যাচাই করেননি কুণাল ঘোষ। বিশ্ববাংলা সংবাদও তা যাচাই করেনি। তবে ঘটনার নেপথ্যে যে রোহস রয়েছে তা স্পষ্ট। তাই তদন্তের দাবি করেছেন কুণাল।

এদিকে, কবচ না থাকায় রেলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে ওই অ্যান্টি কলিসন ডিভিইস বসানোর জন্য ব্য়য় বরাদ্দ করেন তিনি। আজ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোদি সরকারের রেলমন্ত্রীর পাশ দাঁড়িয়ে বলেন, “অ্যান্টি কলিসন ডিভাইস ছিল না। তাই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পিছনে কিছু একটা কারণ রয়েছে। ভাল করে তদন্ত করে দেখা উচিত।”

প্রশ্ন উঠছে রেলের অ্যান্টি কলিসন ডিভাইস কী করছিল। তা কেন কাজ করেনি? শুনলে অবাক হবেন, এমন এক গুরুত্বপূর্ণ লাইনে অ্যান্টি কলিসন ডিভিইস ‘কবচ’ ছিলই না। একসময় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে ডেমো করিয়ে কবচ কীভাবে কাজ করে তা দেখিয়েছিলন। কিন্তু কোথায় সেই কবচ? ২০২২ সালের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন দেশের ২০০০ কিলোমিটার রেল পথে এই ডিভাইস বাসানোর কথা ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন- ঘন ঘন ফোন! রেলমন্ত্রীকে সরিয়ে দায় ঝাড়তে পারে মোদি সরকার, জল্পনা তুঙ্গে